নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ এপ্রিল৷৷ খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা সম্ভব হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব এবং তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক কুৎসা রটনাকারী মূল অভিযুক্ত৷ ইতিমধ্যে পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার তদন্তে বিষয়টি ধরা পড়ছে৷ জানিয়েছেন ত্রিপুরা পুলিশের দক্ষিণাঞ্চল রেঞ্জের ডিআইজি অরিন্দম নাথ৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব ও তাঁর পরিবারকে জড়িয়ে শুক্রবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম, ওয়েব মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসামূলক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বলে বিজেপির বনমালীপুর মণ্ডল সভাপতি দীপক কর পশ্চিম আগরতলা থানায় জনৈক অনুপম পাল এবং অন্য কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন৷ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধি ৪৬৪ / ৪৬৯ / ৫০১ / ১২০ ধারায় মামলা রুজু করে জোরদার তদন্তে নেমেছে৷

শনিবার ডিআইজি অরিন্দম নাথ এক প্রশ্ণের উত্তরে বলেন, পুলিশ জানতে পেরেছে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত অনুপম পাল নামের এক যুবক৷ সেই প্রথমে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটিয়েছে৷ পুলিশ এখন তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে৷ সে এখন রাজ্য ছেড়ে পালিয়েছে৷ তবে পুলিশ তার অবস্থান খোঁজে বের করবেই৷ তার খোঁজে পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করা হবে৷ পাশাপাশি পুলিশ তদন্ত করছে, এই জঘন্য ঘটনায় আর কে কে জড়িত৷ তাদেরও শনাক্ত করে আটক করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিআইজি৷
মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী নীতি দেব বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে দিল্লির এক আদালতে মামলা করেছেন বলে প্রমাণ করতে কিছু কাগজপত্র ছাপানো হয়েছে প্রকাশিত সংবাদগুলিতে৷ পুলিশি তদন্তে ইতিমধ্যে এই কাগজপত্রের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর কোনও সম্পর্ক নেই বলে নিশ্চিত হয়েছে৷ তবে গোটা বিষয়টি যে সাজানো পুলিশের তদন্তে তা-ও ধরা পড়েছে এবং মূল অভিযুক্ত-সহ অন্যদের খুব শীঘ্রই পাকড়াও করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন ডিআইজি নাথ৷ পুলিশের শীর্ষ অফিসার আরও জানান, ষড়যন্ত্রমূলক কার্যকলাপের দায়ে আইপিসি-র ১২০বি ধারাও যুক্ত করা হয়েছে৷