BRAKING NEWS

সাংসদ ফান্ডের টাকা অব্যয়িত অপ্রত্যাশিত বলল বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ মার্চ ৷৷ ত্রিপুরায় সাংসদ এলাকা উন্নয়ন স্কিমে বরাদ্দ অব্যয়িত রয়েছে৷ রাজ্যের দুই সাংসদ সিপিএমের জীতেন্দ্র চৌধুরী এবং শঙ্কর প্রসাদ দত্ত বরাদ্দ অর্থ অব্যয়িত রাখার পাশাপাশি খরচের হিসেবও দেননি৷ সংসদে রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁদের এই ভূমিকা অপ্রত্যাশিত বলে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিজেপি প্রদেশ মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য্য৷ তাঁর কথায়, উন্নয়নের প্রত্যাশায় জনপ্রতিধিরা নির্বাচিত হন৷ কিন্তু, এলাকা উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ সত্বেও সিপিএমের সাংসদদের ভূমিকা হতাশাজনক৷

গত লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে জীতেন্দ্র চৌধুরী এবং পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে শঙ্কর প্রসাদ দত্ত বিজয়ী হয়েছিলেন৷ তখন রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট৷ পাঁচ বছর তাঁরা সংসদে বামফ্রন্টের সাংসদ হিসেবে সংসদে ত্রিপুরার প্রতিনিধিত্ব করছেন৷

পরিসংখ্যা এবং কর্মসূচী বাস্তবায়ন মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার দুই সাংসদের এলাকা উন্নয়নে বরাদ্দ অব্যয়িত রয়েছে৷ শুধু তাই নয়, তাঁরা   খরচের হিসেবও সময় মতো দেননি৷ ওয়েবসাইটের তথ্য মোতাবেক, গত পাঁচ বছরে দুই সাংসদকে ২০ কোটি টাকা করে মোট ৪০ কোটি টাকা এলাকা উন্নয়ন স্কিমের আওতায় বরাদ্দ করা হয়েছে৷ তার মধ্যে সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরী ৫ কোটি ১১ লক্ষ টাকা এবং সাংসদ শঙ্কর প্রসাদ দত্ত ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা খরচই করেননি৷ এলাকা উন্নয়নে মোট বরাদ্দের মধ্যে জীতেন্দ্র চৌধুরীর জন্য ২ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা এবং শঙ্কর প্রসাদ দত্তের জন্য ১১ লক্ষ টাকা এখনে কেন্দ্রীয় মঞ্জুর করেনি৷

ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যে স্পষ্ট, চলতি ইংরেজী বছরের ১৫ জানুয়ারী সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরীকে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা এবং ২০ মার্চ সাংসদ শঙ্কর প্রসাদ দত্তকে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ ওই সমস্ত অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে এলাকা উন্নয়নের খাতিরে৷ কিন্তু, মজার ব্যাপার হল ত্রিপুরার দুই সাংসদ খরচের হিসেবও এখনো কেন্দ্রের কাছে পাঠাননি৷

তাঁদেরকে সামান্য অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার মঞ্জুর করেনি৷ তার পেছনে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরী অডিট সার্টিফিকেট, ইউটিলাইজেশাসন সার্টিফিকেট এবং এমপিআর জমা দেননি৷ তেমনি, শঙ্কর প্রসাদ দত্ত এমপিআর এবং প্রভিশনাল ইউটিলাইজেশাসন সার্টিফিকেট জমা দেননি৷

স্বাভাবিকভাবেই জনকল্যাণে সিপিএমের সাংসদদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ণ তুলেছে বিজেপি৷ বিজেপি প্রদেশ মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য্য উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, সাংসদ হিসেবে ত্রিপুরার দুই জনপ্রতিনিধির ভূমিকা অপ্রত্যাশিত৷ তিনি বলেন, জনকল্যাণে ভূমিকা নেওয়ার জন্যই জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত করা হয়৷ সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের উপর মানুষের প্রত্যাশা অনেক৷ কিন্তু, ত্রিপুরার দুই সাংসদ এলাকা উন্নয়নে বরাদ্দ সম্পূর্ণ অর্থ খরচই করেননি৷ তাতে স্পষ্ট, জনগণের উপকারে তাঁরা আগ্রহী নন৷ তাঁর দাবি, কেন্দ্র থেকে দুই সাংসদকে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷ তার মধ্যে ১৬ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা অব্যয়িত৷ ফলে, এখন রাজ্যের মানুষ নতুনভাবে ভাবতে শুরু করবেন তিনি আশা প্রকাশ করেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *