নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ মার্চ৷৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে শাসক ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব তিপ্রা (আইপিএফপি) দলে ভাঙ্গন অব্যাহত৷ রবিবার ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মার হাত ধরে কংগ্রেস দলে যোগ দিলেন দলের মহিলা সহযোগী সংগঠন মহিলা আইপিএফটি-র তিন নেত্রী৷ তাঁরা হলেন সংগঠনের সহ-সভানেত্রী বীণামালা দেববর্মা, সংগঠনের কুমারঘাট বিভাগের উপদেষ্টা রাধামণি দেববর্মা এবং সংগঠনের কাঞ্চনপুর ডিভিশনের চিফ অরগানাইজিং সেক্রেটারি মেরিয়ামি রিয়াং৷

তাঁদের অভিযোগ, আইপিএফটি- র জন্য তাঁরা অনেক কাজ করেছেন৷ কিন্তু দলের কিছু নেতা নিজেদের স্বার্থের জন্য দলকে নষ্ট করছেন৷ এমন-কি দলের প্রধান উদ্দেশ্য তিপ্রাল্যান্ড গঠনের দাবিকেও প্রায় ভুলে যাচ্ছেন তাঁরা৷ এ-সবের জন্য প্রথমসারির কয়েকজন নেতাকে তাঁরা দায়ী করেছেন৷ ওই নেতারা বিজেপি-র পরামর্শ মেনে চলেন৷ দলত্যাগী নেত্রীদের আরও অভিযোগ, আইপিএফটি নেতাদের কারণে ত্রিপুরা রাজ্যের ঐতিহ্য নষ্ট হচ্ছে৷ এ-সব কারণে দলের সাধারণ কর্মী যাঁরা দলকে মন দিয়ে ভালোবাসেন এবং দলের জন্য সবসময় কাজ করেন তাঁরা কষ্ট পাচ্ছেন৷ তাই তাঁরা আইপিএফটি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন৷ তাঁরা আরও জানান, তাদের সঙ্গে দুই থেকে তিন হাজার সদস্য কংগ্রেস দলে আসছেন৷
এদিকে, যোগদান অনুষ্ঠানের পর প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মা বলেন, স্বাধীনতার ৭০ বছর পর ত্রিপুরার সকল জনজাতি অংশের মানুষকে এক জোট করার চেষ্টা তিনি করেছিলেন৷ যাতে ভারত সরকারের কাছে একটি নতুন খবর যায় যে ত্রিপুরা রাজ্যের সকল জনজাতি অংশের মানুষ নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এক জোট৷ ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদে কেন্দ্র থেকে সরাসরি অর্থ প্রদান করা হয়, সিটিজেনশিপ বিল বাতিল করতে হবে, জনজাতিদের জমি যারা দখল করেছে তা উদ্ধার করতে হবে৷ এজন্য অন্যান্য জনজাতি ভিত্তিক দলের পাশাপাশি আইপিএফটি দলের সভাপতি এনসি দেববর্মার বাড়ি গিয়ে দেখা করেছিলেন কংগ্রেস দলের পাশে দাঁড়ানোর জন্য৷ কিন্তু আইপিএফটি দলের দুই তিনজন নেতার কারণে তা সম্ভব হয়নি৷ তবে আইপিএফটি-র অনেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে আসতে চান৷ এরই প্রেক্ষিতে তিন মহিলা নেত্রী কংগ্রেস দলে যোগ দিয়েছেন৷ আরও অনেক যুব নেতা ও সদস্য কংগ্রেসে আসবেন৷ এই আন্দোলনকে এক রাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবেই রাখতে চান না৷ এই আন্দোলনকে জনজাতিদের অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে ধরতে চান বলেও জানান তিনি৷ প্রসঙ্গত, কয়দিন আগে আইপিএফটি ছেড়ে অনেক ভোটার বিজেপি-তে যোগদান করেছিলেন৷