হোলি উৎসবে মাতোয়ারা গোটা রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ মার্চ৷৷ হোলি উৎসবে মাতোয়ারা গোটা রাজ্য৷ গ্রাম থেকে শহর, শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই আনন্দ-উল্লাসের জোয়ার৷ রাজধানী আগরতলা শহরে ফুলি উৎসবকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়৷ হোলি উৎসব কে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল অভূতপূর্ব৷ হোলি উৎসব কে কেন্দ্র করে কোথাও থেকে বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই৷ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়৷ বৈষ্ণব ধর্ম অনুযায়ী এই ফাগুন পূর্ণিমাতে বৃন্দাবনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির আর রঙ নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য সখীদের সঙ্গে রং খেলায় মত্ত হয়ে উঠেছিলেন৷ সেই থেকেই দোল উৎসবের প্রচলন৷

দোল উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে৷ দোলের দিন সকাল থেকেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আবির ও বাহারি রঙের খেলায় মেতে উঠেন৷ এই দোল উৎসবকে বসন্ত উৎসব নামে আখ্যায়িত করা হয়৷ আমাদের রাজ্য দোল পূর্ণিমায় দোল উৎসব এবং হোলি খেলায় আনন্দ-উল্লাসের কোন ঘাটতি নেই৷ দোল পূর্ণিমার পরের দিন সর্বত্র হোলি খেলায় মেতে উঠেন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতারা৷ডট কমের যুগেও হোলি খেলা নিয়ে ছেলেমেয়েদের মধ্যে কোনো ঘাটতি নেই৷ হোলি খেলার এই বিশেষ দিনে একে অপরের সঙ্গে অবাধ মেলামেশার সুযোগ পেয়ে থাকে৷ রাজধানী আগরতলা শহরের হারাধন সংঘ সংলগ্ণ ডিম সাগরের পাড়ে গড়ে ওঠা পার্কে হোলি খেলার দিনে দেখা গেল এক আনন্দ উল্লাস এর চিত্র৷ কিশোর কিশোরী, যুবক-যুবতী, ছাত্র-ছাত্রী সবাই একে অপরের গায়ে রং মেখে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন৷ হোলি খেলার এই দিনটি যেন সকলের কাছে সবচেয়ে বেশি আনন্দের৷ দোল উৎসব ও হোলি উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়৷ এর ফলে হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *