ঢাকা।। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ আয়োজিত “হিন্দুদের অধিকার আদায়ে বিজেপি’র বিকল্প নেই” শ্লোগানে প্রতিনিধি সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি( বিজেপি) হিন্দুসহ সারা বিশ্বের অত্যাচারিত মানুষের রক্ষাকবচ। নেতৃবৃন্দ ১৯৪৭ থেকে এখন পর্যন্ত নির্যাতিত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া হিন্দুদের বিজেপিকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিজেপিই ভারতের একমাত্র সেকুলার পার্টি। কারণ বিজেপি সকল ধর্মের মানুষকে সমানভাবে দেখে। পাকিস্থান ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগ করেছে। অথচ প্রতিদিন পাকিস্থান ও বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা বিতারিত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিলেও ভারত থেকে নির্যাতিত হয়ে দুই দেশে কোন মুসলিমকে চলে আসার খবর পাওয়া যায়না।
গত ৮ মার্চ শুক্রবার বাংলাদেশের ঢাকার শিব মন্দিরে সারা দেশ থেকে আগত হিন্দু প্রতিনিধিদের সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নির্বাহী সভাপতি সমেন কুমার সাহা, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক হরপিদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিন্দ্র নাথ বর্মণ, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল কৃষ্ণ হাওলাদার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার পার্থ সারথী দে, মহিলা সম্পাদক সুলতা রানী দাস, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শেফালী রানী, দফতর সম্পাদক কাজল হালদার, সমাজকল্যান সম্পাদক চন্দ্র বাসী রায়, আপ্যায়ন সম্পাদক নয়ন সাহা, নির্বাহী সদস্য সঞ্জিব বসাক প্রমুখ। প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মনজ কুমার মন্ডল।
বক্তারা বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি যেমন সারা বিশ্বে হিন্দুদের উপরে নির্যাতন হলে প্রতিবাদ করে তেমনি অন্য কোন ধর্মের মানুষ অত্যাচারিত হলে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা যখন অত্যাচারিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তখন ভারতের বিজেপি সরকার তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। এটাই বিজেপি সরকারের অনন্য উদাহরণ।