মুজাফফরনগর, ৮ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): মুজাফফরনগর দাঙ্গা (২০১৩) মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হল ৭ জন দোষীই| শুক্রবার সাজা ঘোষণা করেছে মুজাফফরনগরের স্থানীয় আদালত| কাওয়াল গ্রামে দুজনের হত্যার ঘটনাকে ঘিরে ২০১৩ সালে মুজাফফরনগর দাঙ্গায় ৬০ জনের বেশি লোক হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ৭ জনের সাজা ঘোষণা হয়েছে এদিন। ২০১৩ সালের ২৭ আগস্ট, সচিন এবং গৌরব নামে দুই তরুণকে হত্যা এবং তারপর দাঙ্গা বাধানোর ঘটনায় গত বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক হিমাংশু ভাটনগর সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এই সাতজন অপরাধীর নাম- মুজাম্মিল, মুজাসসিম, ফুরকান, নাদিম, জাহাঙ্গীর, আফজল এবং ইকবাল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুজাফফরনগরের জনসথ থানার অন্তর্গত কাওয়াল গ্রামের ওই দুই তরুণকে নৃশংসভাবে হত্যা এবং তার জেরে দাঙ্গা ও ৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত হয় ওই সাতজন। এদের মধ্যে পাঁচজন- মুজাম্মিল, মুজাসসিম, ফুরকান, নাদিম ও জাহাঙ্গীর আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়। পরবর্তীকালে আদালতে এই মামলার শুনানি চলাকালীন বাদীপক্ষের ১০ জন এবং বিবাদী পক্ষের ৬ জন অপর দুই অভিযুক্ত আফজল এবং ইকবালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের পর মোট সাতজনকে বুধবার দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ২০১৩ সালের ঘটনার পর প্রায় ৬ হাজার মামলা দায়ের হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল দেড় হাজারকে। মামলার তদন্ত ভার তুলে দেওয়া হয়েছিল স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের হাতে। মোট ১৭৫টি চার্জশিট ফাইল করেছিল তারা। সেইসময়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ সিং যাদব। দাঙ্গার পর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তদন্তকারী তাঁকে অব্যাহতি দেন। বদলে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন ঘটনা ঠিকমতো সামাল দিতে না পারায় তাদের দোষারোপ করা হয়। বর্তমান উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার জেলা প্রশাসনকে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়ে মুজাফফরনগরের দাঙ্গা বিষয়ক ১৮টি মামলা তুলে নেবে বলে জানায়। এরপর গত বুধবার ওই সাত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করার পর এদিন তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় আদালত।