নয়াদিল্লি, ১ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : \”লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই এই বাজেট তৈরি করেছে সরকার\”, এমনটাই প্রতিক্রিয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের। তবে আরও একটি কথা তিনি জানিয়েছেন, \”লোকসভা ভোটে প্রভাব ফেলবে এই বাজেট।\” আয়করের সীমা বাড়ানো থেকে শুরু করে কৃষকদের জন্য বিশেষ ছাড়, তপসিলি জাতি উপজাতিদের উন্নয়নে বরাদ্দ বৃদ্ধি, শিশু বিকাশ খাতে খরচ বাড়ানো থেকে প্রতিরক্ষায় বিনিয়োগ -রয়েছে ২০১৯-২০ বর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেটে। মনমোহন সিংয়ের বক্তব্য, \”কৃষক ও মধ্যবিত্তদের জন্য সুবিধে দেওয়া হয়েছে তার প্রভাব লোকসভা নির্বাচনে পড়বে।\”

উল্লেখ্য, পরবর্তী অর্থবর্ষ থেকেই গ্র্যাচুইটির সীমা বেড়ে ১০ লক্ষ টাকা থেকে ৩০ লক্ষ টাকা হবে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরতদের জন্য \”প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মন্ধন (পিএমএসওয়াইএম)\” স্কিমে মাসে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এরজন্য মাসে ১০০ টাকা করে দিতে হবে। শ্রমিকদের বয়স ৬০ পেরিয়ে গেলে ওই ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গোয়েল। ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’ স্কিমে ৫ একর এবং ৫ একরের জমির মালিকানা আছে এমন ১২ কোটি কৃষক উপকৃত হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেই উদ্দেশ্যে দুই একরের নীচে জমির মালিকদের বছরে ৬০০০ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। এবার বাজেটে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের লোকেদের কোনও আয়কর লাগবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাজেট পেশ করার সময় অবশ্য পীয়ূষ গোয়েলের মন্তব্য, \”এই বাজেট অন্তর্বর্তিকালীন বাজেট নয়, দেশের মানুষের কাছে উন্নয়ণ পৌঁছে দেওয়া বাজেট।\” অন্যদিকে, লোকসভায় এদিন বাজেট পেশের পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানিয়েছেন, \”একেবারেই ভোটের বাজেট বানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এর প্রভাব পড়বে আসন্ন লোকসভা ভোটে।\” মনমোহন এদিন বলেছেন, ‘‘এই বাজেটে আয়করে অনেকটা ছাড় দিয়ে মধ্যবিত্তদের খুশি করা হয়েছে। কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের খুশি করার চেষ্টা হয়েছে। খুশি করার চেষ্টা চালানো হয়েছে গ্রাম ভারতকে। মে মাসের লোকসভা ভোটে অবশ্যই এই সবের প্রভাব পড়বে।’’
