কর্মশালা বানচালের চক্রিদের চিহ্ণিত করেছেন জানিয়ে হুশিয়ারী দিলেন মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ জানুয়ারি ৷৷ সরকারী অনুষ্ঠান বানচালের জন্য ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন৷ তবে, সরকারী অনুষ্ঠান বানচালের চক্রিকে সনাক্ত করেছেন জানিয়ে হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি৷ তাঁর কড়া বার্তা, প্রশাসনের আধিকারিকের দায়িত্বে থেকে এ ধরনের ষড়যন্ত্র মূলক আচরণ আগামী দিনে বরদাস্ত করা হবে না৷ সোমবার আগরতলা টাউন হলে পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তর এবং আইপিএইচই ইন্ডিয়া আগরতলা শাখার যৌথ উদ্যোগে স্বচ্ছ ত্রিপুরা অভিযান, অটল জলধারা মিশন এবং ওয়াটার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়৷ কিন্তু, রবিবার সন্ধ্যায় সেমিনারে অংশ গ্রহণকারীদের কাছে এই অনুষ্ঠান বাতিল বলে বার্তা পাঠানো হয়৷ এই বিষয়ে এদিন সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন বলেন, গতকাল এক ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছিল৷ আজকের সেমিনার বাতিল বলে অনেকেরই কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে৷

অথচ, এই বিষয়ে দপ্তর এবং দপ্তরের মন্ত্রীকে অবগত করানো হয়নি৷ তখন, খোজ নিয়ে জানা গেছে, রাজ্য সরকারকে কালীমালিপ্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে৷ এদিন তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ওই ষড়যন্ত্রকারী প্রশাসনিক আধিকারিককে চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ তিনি ওই আধিকারীকের নাম নিলেও তাঁর কড়া সর্তকবার্তা, প্রশাসনে থেকে এই ধরনের আচরণ আগামী দিনে বরদাস্ত করা হবে না৷ পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষকে এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য আবেদন জানিয়েছেন৷
পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন আরও বলেন, রাজ্যের প্রত্যেক পরিবারে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য দপ্তর বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ প্রত্যন্ত পাহাড়ী এলাকাতেও কীভাবে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া যায় সেবিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ সোমবার আগরতলায় স্বচ্ছ ত্রিপুরা অভিযান, অটল জলাধার মিশন এবং ওয়াটার কোয়ালিটি মেনেজম্যান্ট এর উদ্যোগে এক সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন একথা বলেন৷
বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুদীপ রায় বর্মন জানান, অটল জলাধার মিশনের অধীন রাজ্যের ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ৮৩৩ টি পরিবারকে পানীয় জলের সংযোগের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল৷ প্রথম পর্যায়ে এই কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ এর নভেম্বরে৷ আজকের তারিখে শহর ও গ্রামীন এলাকার ৪ হাজার ২৩৮টি পরিবারকে এই মিশনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে৷ ১৮ হাজার ৩৮৬ পরিবারকে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে আওতায় নিয়ে আসা যাবে বলে মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন উল্লেখ করেন৷ তিনি আরও বলেন, রাজ্যের ৮ হাজার ৭২৩টি পাড়ার মধ্যে ৬ হাজার ১৩৩টি পাড়া পুরোপুরি পানীয় জলের আওতায় আনা হয়েছে৷ ২ হাজার ৫৮৪টি পাড়া আংশিক আওতায় এসেছে এবং বাকি ১৬টি পাড়া স্লেক বেক পাড়া৷ দপ্তর শীঘ্রই সব পাড়াতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেবে৷ এর জন্য তিন বছরের একটি লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷
স্বচ্ছ শৌচালয় প্রসঙ্গে মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন এদিন ভাষণে উল্লেখ করেন, ২ ল ৯৯ হাজার ৬৬৫ পরিবারে মধ্যে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৬০৭টি পরিবার শৌচালয়হীন৷ ১ লক্ষ ১৬ হাজার ১৪৭টি শৌচালয় পুণঃনির্মাণ করা হয়েছে৷ তাছাড়া ৭ হাজার ৫১৩টি শৌচালয় নির্মাণের কাজ চলছে৷ ১ হাজার ১৭৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১ হাজার ৫১টি গ্রাম খোলা জায়গায় শৌচ মুক্ত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *