নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ জানুয়ারি ৷৷ ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক চিঠিমূলে ত্রিপুরা সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা ও তার সহযোগী দল বা সংস্থা এবং অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স ও তার সহযোগী সমস্ত দল বা সংস্থা সমূহকে বে আইনি সংগঠন বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷ বে আইনি কার্যকলাপ আইন ১৯৬৭ এর ৩৭ এর ৩নং ধারার ১ নং উপধারায় এই ঘোষনাটি ২০১৮ এর ৩ অক্টোবর গ্যাজেট অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে যে, এনএলএফটি এবং এটিটিএফ হিংসাত্মক ও নাশকতামূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে আসছে, সরকতারের কর্তৃত্বকে হীন করে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক ও হিংসার পরিবেশ ছড়িয়ে দিয়ে আসছে৷ উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী দলগুলির সহায়তা পাবার লক্ষ্যে তাদের সাথে যোগযোগ রাখছে৷ তাদের উদ্দেশ্যসাধনের লক্ষ্যে সাম্প্রতিকালে হিংসাত্মক ও বে আইনি কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে যা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও একতার পক্ষে হানিকারক৷ তাই তাদের বে আইনি ঘোষণা করা হয়েছে৷তাদের বে আইনি কার্যকলাপের মধ্যে রয়েছে পুলিশ, সুরক্ষা বাহিনীর সদ্যস ও জনসাধারমকে হত্যা, ত্রিপুরার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষেক কাছ থেকে টাকা আদায় করা, আত্মরক্ষা, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহের জন্য প্রতিবেশি রাষ্ট্রে আস্তানা গড়ে তোলা ইত্যাদি৷ তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে যে, যদি তাদের কার্যকলাপগুলিকে এখনই প্রতিরোধ করা না যায় তাহলে তাতাজ্ঝর তাদের হিংসাত্মক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্ম আরও বাড়িয়ে দেবে৷ ভারত বিরোধী শক্তিগুলির সাথে মিলে দেশ বিরোধী প্রচার চালাবে৷ পুলিশ, সুরক্ষা বাহিনী ও জনসাধারণকে খুন করবে৷ জোরপূর্বক অর্থ আদালয় করবে ও দেশের বাইরে থেকে অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করবে৷ তাই তাদের বে আইনি ও নিষিদ্ধ দল বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷ এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি গ্যাজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ায় সাথে সাতেই বলবৎ হয়েছে৷