সন্ধ্যারাতে সেকেরকোট বাজারে বোমা বিস্ফোরণন্ধকারে হাতরাচ্ছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলাসাগর, ২১ ডিসেম্বর৷৷ সেকেরকোটে সন্ধ্যারাতে বোমা বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে৷ কে বা কারা এই বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তার কোন ক্লু বের করতে পারেনি পুলিশ৷ তবে স্থানীয় জনমনে এই বিস্ফোরণকে ঘিরে নানা প্রশ্ণ উঠছে৷ গোটা সেকেরকোটে থমথমে পরিস্থিত৷ মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল সংখ্যায় নিরাপত্তা বাহিনী৷ তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷ রাতে খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ অন্ধকারেই হাতরাচ্ছে৷ তবে, এই বিস্ফোরণে কেউ নিহত বা আহত হয়নি৷ তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতিরও খবর নেই৷
সংবাদে প্রকাশ, মুহুর্তের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ কেউ দোকানের শার্টার কোন রকমে বন্ধ করে বাড়ি চলে যান৷ আবার কেউ দোকানের দরজা খোলা অবস্থায় চিৎকার করে বাজার থেকে নিরাপদ স্থানে ছুটে যান৷ শুক্রবার রাত আটটা দশ মিনিট নাগাদ সেকেরকোট নিউমার্কেট দ্বিতল ভবনের ভেতরে ৷ যেখানে রয়েছে সেকেরকোট পঞ্চায়েত অফিস৷ খবর ছড়িয়ে পরতেই এই নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরাই নন গোটা সেকেরকোট বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকন বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান৷
শুক্রবার ছিল সেকেরকোট বাজারের হাটবার৷ আর যে জায়গা থেকে বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজ বেরিয়ে আসে সে জায়গার মধ্যে সব্জী ব্যবসায়ীরা সব্জী এবং আসবাবপত্র রাখা থাকোত৷ কিভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে এনিয়ে প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে৷ কারণ গেইটের মধ্যে রয়েছে তালা৷ আর তালা অবস্থায় বোমা নিক্ষেপ করা অসম্ভব৷ একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে পাকা ভবনের জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে এবং পাকাবাড়ির কিছু অংশেও নাকি ফাটল ধরেছে৷ আবার এও শোনা গিয়েছে লোহার রডগুলিও নাকি দুমরে মুচড়ে গিয়েছে৷ এদিকে, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে আমতলী থানার পুলিশ৷ তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷ তবে পুলিশের বক্তব্য কয়েকটি চকলেট বোমাকে একত্রিত করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে৷ পুলিশের দাবি, এলাকার পরিস্থিতি নষ্ট করার জন্য দুসৃকতিরা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে৷ অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে শাসক ও বিরোধী সিপিএমের সেকেরকোটে সংঘর্ষ হয়েছে৷ হয়তো রাজনৈতিক হিংসার কারণেই এই বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে৷