নয়াদিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : শিখ বিরোধী দাঙ্গায় দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সোমবার শিখ বিরোধী হিংসায় দোষীসাব্যস্ত কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। অন্যদিকে দায় ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া কংগ্রেস। রায় ঘোষণার পর বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল দাবি করেন, আমাদের দল তাকে কোনও টিকিট দেয়নি এবং কংগ্রেসের কোনও পদে তিনি নেই। যদিও, দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ১৯৮৪ সালের দাঙ্গার পাপের দায় কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবারকে নিতে হবে। দোষীদের আড়াল করার সমস্ত রকমের চেষ্টা কংগ্রেস করে গিয়েছে। তাই এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া এবং রায় ঘোষণায় এতটা বিলম্ব হল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার আসার পর স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা এসেছে। পাশাপাশি এদিন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমল নাথের শপথগ্রহণকে কটাক্ষ করে অরুণ জেটলি বলেন, এমন দিনে এই রায় ঘোষণা হল যখন শিখ সমাজ যে দ্বিতীয় নেতাকে দোষী মনে করে তাকে কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসালো, যা দুঃখজনক।
অন্যদিকে দায় ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া কংগ্রেস। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, ‘সজ্জন কুমারকে আমাদের দল কোনও টিকিট দেয়নি। কোনও দলীয় পদে তিনি নেই।’ মধ্যপ্রদেশের নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের পক্ষে সওয়াল করে কপিল সিব্বল বলেন, ‘২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জবাবদিহি করতে হবে। গুজরাট দাঙ্গায় দোষীরা এখনও বিভিন্ন পদে রয়েছে। আদালতের রায়ে রাজনৈতিক রঙ চড়ানোর চেষ্টা করছেন অরুণ জেটলি। এটি আদালতের সিদ্ধান্ত। যা আমরা মেনে নিয়েছে।’
উল্লেখ্য, সোমবার শিখ-বিরোধী হিংসায় (১৯৮৪) দোষীসাব্যস্ত হন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার| সোমবার ১৯৮৪-র শিখ-বিরোধী হিংসায় কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে দোষীসাব্যস্ত করেছে দিল্লি হাইকোর্ট| সজ্জন কুমারকে এদিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে| পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে সজ্জন কুমারকে| এর আগে ট্রায়াল কোর্টের রায়ে বেকসুর খালাস হয়েছিলেন সজ্জন কুমার|