বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সংসৃকতি সম্মেলনের কাজকর্মের ভূয়ষী প্রশংসা শিক্ষামন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিদি, আগরতলা, ৪ ডিসেম্বর৷৷ বাংলা সাহিত্য সংসৃকতির প্রসারে বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সংসৃকতি সম্মেলনের ভূয়ষী প্রশংসা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷ আজ সন্ধ্যায় নাচে গানে নাটকে বিশ্ব বঙ্গ সংসৃকতি সম্মেলনের ত্রিপুরা শাখার উদ্যোগে মিলন উৎসবে নতুন পরিচালন কমিটিকে বরণ করে নেয়া হয়৷ মূলত বিশ্ব বঙ্গের ত্রিপুরা শাখার নতুন কমিটিকে নাচে গানে এক সাংসৃকতিক পরিমন্ডলে বরণ করে নিতেই এই মিলন উৎসবের আয়োজন করা হয়৷ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী শ্রীনাথও বাংলা ভাষা সংসৃকতির উপর যে আক্রমণ চলছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ তিনি আশংকা করেছেন একদিন এই ভাষা হারিয়ে না যায়৷ তাঁর ভাষণে বিশ্ব বঙ্গের ত্রিপুরা শাখার সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাসের রচনা থেকে তিনি তাঁর ভাষণে পাঠ করে শোনান৷ বিশ্ব বঙ্গ সংসৃকতি সম্মেলনের উদ্যোগের আরও বেশী প্রসার ও প্রচার নেয়ার ক্ষেত্রে তিনিও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার সরকারী অর্থাৎ রাজ্য ভাষা বাংলা৷ কিন্তু, বাংলাতে কেউ চিঠি লিখেন না৷ তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে জানান যে, তিনি সিপিএম নেতা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্যকে বাংলায় চিঠি লিখেন৷ বিকাশ রঞ্জনও চিঠির উত্তর দেন বাংলাতেই৷ বাংলায় চিঠি লিখার জন্য বিকাশ রঞ্জন ভূয়ষী প্রশংসা করেন বলেও জাননা রতন বাবু৷ বাংলা ভাষার এই দুরাবস্থার কথা স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রীই বিশ্ব বঙ্গের অনুষ্ঠানে অকপটে তুলে ধরেন৷
অনুষ্ঠানে বিশ্ব বঙ্গ সম্পর্কে বিস্তৃত তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক রাধাকান্ত সরকার৷ বিশেষ অতিথির ভাষণ দেন বিধায়ক আশিষ সাহা, বিশিষ্ট সাংসৃকতিক ব্যক্তিত্ব সুভাষ দেব৷ সভাপতির ভাষণে জাগরণ পত্রিকার সম্পাদক তথা বিশ্ব বঙ্গের রাজ্য শাখার সভাপতি তাঁর ভাষণে বাংলা সাহিত্য সংসৃকতির প্রসারে সকলে মিলে কাজ করার আহ্বান রাখেন৷ তিনি ঘোষণা করেন, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে, সংগীতের ক্ষেত্রে ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রতিবছর তিন ব্যক্তিত্বকে বিশ্ব বঙ্গ সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করবে৷ বহু দর্শক মন্ত্রমুগ্দের মতো বিশ্ববঙ্গের নাটক নৃত্য সংগীত উপভোগ করেছেন৷ এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্ববঙ্গের নতুন রাজ্য শাখার যাত্রা শুরু হল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *