নিখোঁজ হওয়া যুবক উদ্ধার শিলংয়ে

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ৩ ডিসেম্বর৷৷ গত বৃহস্পতিবার মিখোঁজ হওয়া দ্বাদশ পড়ুয়া ছাত্রের সন্দান প াওয়া গিয়েছে শিলং থেকে৷ বিশালগড় থানার উদ্যোগে নিখোঁজ হওয়া যুবকের মোবাইল কল ট্রেক করে জানতে পারে যে শিলং রয়েছে দ্বাদশ পড়ুয়া যুবক তনয় দেবনাথ৷ ফিসে এসে তনয় বিশালগড় পুলিশের কাছে সব কিছু খুলে বলে সে৷ সে জানায়, অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করে চাকরি পাওয়ার জন্য৷ নিখোঁজ হওয়ার সপ্তাহখানেক পূর্বে তনয় দেবনাথ ফর্ম ফিলাপ করেছে৷ তবে বৃহস্পতিবার ফোন আসে যে তনয় চাকরি পেয়েছ৷ সাব বেতন ২৫০০০/- টাকা৷ তখন খুশি হ য়ে তনয় বাড়ি থেকে আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাস বুক, অন্যান্য কাগজপত্র সব ব্যাগে ঢুকিয়ে বিশালগড় দাঁড়ায়৷ যে চাকরি দেবে বলেছিলো তারা বিশালগড়ে মারতি নিয়ে এসেছে তনয়কে নেওয়ার জন্য৷ তনয়ও তৈরি যাওয়ার জন্য৷ ঐদিন ছিল তার দ্বিতীয় টেস্টের পরীক্ষা৷ পরক্ষা না দিয়েই বাবা মাকে না বলেই চাকরি পাওয়ার জন্য চলে যায়৷ চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারকরা মারতি গাড়ি নিয়ে বিশালগড় তেকে তনয় দেবনাথকে নিয়ে সোজা আগরতলা রেল স্টেশনে গিয়ে রেলে উঠে পড়ে সন্ধ্যায় যখন রেলে উঠে তখন তাকে মোবাইল বন্ধ করে রখার জন্য বলে৷ ধর্মনগর গিয়ে তাকে নামিয়ে অন্য আরেকটি মারুতিতে তুলে নিয়ে মুখে প্লাস্টার লাগিয়ে, রুমাল চাপা দিয়ে কি যেন লাগিয়ে দেয় সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হ য়ে যায়৷ এতটুকু ধর্মনগর পর্যন্ত তনয় বলতে পেরেছে৷ কিন্তু শুক্রবার দিন তনয় জানতে পারে যে আরেজন ছেলে তার ব য়সী ধর্মনগর থেকে উঠেছে৷ দজনকে একটি অন্ধকার ঘরে হাত পা বেঁধে রেখেছে৷ জ্ঞান ফেরার পর তনয় এবং ধর্মনগগেরর চেলেটা দুজনে মিলে কামড়ে দড়ি কেটে বন্ধ ঘর থেকে বের হওয়ার পর দেখে পাশে কিছুই নেই শুধু পরিত্যক্ত এই ঘরটি৷ সোজা দৌড়ে গিয়ে কিছু দূরে দেখতে পায় একজন বৃদ্ধলোক দোকান খুলে বসে রয়েছে৷ তাকে জিজ্ঞাস করে জানতে পারে দুজন মেঘালয়ে আছে৷ তখন দুজনে বাসে করে মেঘালয় পুলিশ থানায় গিয়ে সব খুলের বললে, বিশালগড় পুলিশের সাথে কথা বলে গাড়িতে উঠিয়ে দেয়৷ গাড়িতে উঠে তনয় প রিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে৷ যথারীতি তার পরিবারের লোকজন আগরতলা এসে দুপুরে তাকে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পরে সমস্ত কথা শুনে সকলেই আঁতকে উঠবে তা বলার কিছু নেই৷ আগরতলা থেকে সোজা বিশালগড় থানায় গিয়ে সবকিছু খুলে বলে৷ তার আচকমা নিখোঁজ হওয়ায় গোটা এলাকা থমথমে এবং উদ্ধার হওয়ার পর এলাকার লোকজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *