নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২১ নভেম্বর৷৷ ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে পিটিয়ে খুন৷ সেই সাথে আরও এক ব্যাঙ্ক কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর ঘায়েল করা হয়েছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক দশটা নাগাদ বিশ্রামগঞ্জ থানার আধীন লাটিয়াছড়া ভূবন পাড়ায়৷ নিহতের নাম জয়দেব সাহা৷ বাড়ি গোমতী জেলার কাকড়াবনে৷ অন্যদিকে আহত ব্যাঙ্ককর্মীর নাম খোকন নোয়াতিয়া৷ শ্রীনোয়াতিয়া গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷
নিহতের বাবা খোকন চন্দ্র সাহা বিশ্রামগঞ্জ থানায় যে অভিযোগ দায়ের করেছেন সেই মোতাবেক জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বন্ধন ব্যাঙ্কের গোলাঘাটি শাখার ম্যানেজার জয়দেব সাহা (৩২) গোলাঘাটি থেকে তাঁর সহকর্মী খোকন নোয়াতিয়া, টিটু দাস, সুরজিৎ সেন, অভিজিৎ দাস ও সুবল রুদ্রপালসহ তিনটি বাইকে করে বিশ্রামগঞ্জের লাটিয়াছড়া ভূবন পড়ার বাসিন্দা রসি দেববর্মার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ খেতে যায়৷ বিয়ে বাড়িতে যখন পৌঁছায় তখন সন্ধ্যা সাতটা বাজে৷ তারপর নিমন্ত্রণ খেয়ে রাত আনুমানিক দশটা নাগাদ গোলাঘাটি ফিরে যাবার পথে ভূবনপাড়ার রবিচরণ দেববর্মার বাড়ির সামনে অজ্ঞাত পরিচয় কতিপয় দুসৃকতিকারী জয়দেব সাহাও খোকন নোয়াতিয়াকে পথে আটক করে এবং প্রচন্ডভাবে মারধর করে রাস্তার মধ্যে ফেলে রাখে৷ বাইকটিও ভাঙচুর করা হয়৷ ছিনতাই করা হয় সোনার চেইন৷ পরে স্থানীয় থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে জয়দেব সাহা ও খোকন নোয়াতিয়াকে উদ্ধার করে বিশ্রামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ সেখান থেকে জয়দেব সাহাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আগরতলায় জি বি হাসপাতালে রেফার করা হয়৷ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়দেব সাহার মৃত্যু হয় বুধবার৷ থানায় অভিযোগ করার সময় নিহতের বাবা উল্লেখ করেছেন, তিনি জানতে পারেন জয়দেব ও খোকনকে মারার সময় দুসৃকতিকারীরা গ্রামের মেনকা দেববর্মা নামে একজন মহিলাকেও মারধর করেছে৷
এদিকে, পুলিশ এই অভিযোগ মূলে একটি মামলা নিয়েছে৷ বিশ্রামগঞ্জ থানায় মামলার নম্বর ৬৫/১৮৷ মামলাটি হয়েছে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৪১, ৩০২, ৩০৭, ৩৮৬, ৪২৭ এবং ৩৪ ধারা মূলে৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে৷ রাতে খবর লেখা পর্যন্ত গ্রেপ্তারের কোন খবর নেই৷ তবে, এই হত্যকান্ডের পেছনে কি রহস্য রয়েছে এই ব্যাপারে জনমনে প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে৷ কেনই বা ম্যানেজার ও ব্যাঙ্ককর্মীকে মারধরের পাশাপাশি ঐ মহিলাকে মারধর করা হয়েছে৷ এই ঘটনায় কি কোন প্রণয় সংক্রান্ত কিংবা নারী সংক্রান্ত বিষয় জড়িয়ে আছে, এই প্রশ্ণ উঠছে৷