নয়াদিল্লি, ২৬ অক্টোবর (হি.স.) : সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)-এর অর্ন্তকলহের জেরে দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে সিবিআই বিতর্কের তদন্তে ইতিবাচক দিক খুলে গেল। একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় তদন্তের যেমন গতি আসবে, তেমনই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বাধীনে কমিটি তদরাকি করায় সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। স্বচ্ছতা এবং ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স ইনভেস্টিগেশনের তদন্ত এখনও বাকি রয়েছে। সিবিআইয়ে ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার সর্বত্র প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন সিভিসি-র তদন্তকারীরা। তবে এদিন অরুণ জেটলি সাফ জানিয়ে দেন, কারোর প্রতি ব্যক্তিগতভাবে বিদ্বেষ নেই সরকারের।
কেন্দ্রের অনির্দিষ্টকালীন ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিবিআই কর্তা অলোক বর্মা। শুক্রবার এই শুনানির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রথম, অলোক বর্মার অভিযোগের তদন্ত ১০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে। দ্বিতীয়, এই তদন্তের দায়িত্বভার পাওয়া সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের উপর তদারকির করবেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি। তৃতীয়, সদ্য ভারপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই অধিকর্তা নাগেশ্বর রাও কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অনেকটাই রক্তচাপ বাড়ালো মোদী সরকারকে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মধ্যরাতে জরুরিকালীন সিদ্ধান্তে সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মা এবং বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানাকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন। বর্মা এবং আস্থানার দ্বৈরথ যখন তুঙ্গে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে তখন আগুনে ঘি পড়ে। রাতারাতি ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তে বিতর্কের মুখে পড়ে মোদী সরকার। অলোক বর্মাকে সরানোয় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল প্রশ্ন তোলেন, রাফেল নিয়ে তদন্ত শুরু করায় সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে সরানো হয়েছে।