নয়াদিল্লি, ২৩ অক্টোবর (হি.স.) : পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন এবং পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টার ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভারত। এই বিষয়ে দুই দেশের সেনাবাহিনী মঙ্গলবার ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন (ডিজিএমও) স্তরে টেলিফোনের মাধ্যমে বৈঠক করেছে।
কাঁটাতার পেরিয়ে পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ, একাধিকবার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন, বর্ডার অ্যাকশন টিমের অযাচিত গতিবিধির বিষয়গুলি বৈঠকে তুলে ধরা হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে। পাশাপাশি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিদের কার্যকলাপে মদত দেওয়া থেকে পাকিস্তানকে বিরত থাকাতে বলে ভারতীয় সেনা। ২১ অক্টোবর ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর তিন জওয়ানের হত্যা নিয়ে সরব হয় ভারতীয় সেনা। এর আগে গত ২৯ মে শেষবার ভারত ও পাকিস্তান সেনা ডিজিএমও স্তরে বৈঠকে বসে ছিল। সেবারও সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল ভারতের তরফে। ওই বৈঠকের পর সাতবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে ২৩ জন জঙ্গি প্রাণ হারিয়েছে।
উল্লেখনীয়, গত ২১শে অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীরের সুন্দরবনি সেক্টরে পাকিস্তানের জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন টহলরত তিন জওয়ান। বিষয়টিকে মোটেও হাল্কা ভাবে নেয়নি বিদেশমন্ত্রক। মঙ্গলবার এই ঘটনার প্রতিবাদ করে ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানি দূতাবাসের বরিষ্ঠ আধিকারিকদের ডেকে পাঠাল বিদেশমন্ত্রক। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের ঢোকার সময় ছয়জন পাকিস্তানি জঙ্গিকে বাধা দেয় সীমান্তে টহলরত নিরাপত্তা বাহিনী। দুই তরফের মধ্যে শুরু হয় তীব্র গুলির লড়াই। সংঘর্ষে দুই জঙ্গি প্রাণ হারায়। শহিদ হন তিন জওয়ান। বিদেশমন্ত্রকের তরফে নিহত জঙ্গিদের মৃতদেহগুলিকে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে পাকিস্তানকে। ২০১৮ সালে এখনও পর্যন্ত ১৫৯১ বার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে করেছে পাকিস্তান।