নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/ চুড়াইবাড়ি, ৩০ সেপ্ঢেম্বর৷৷ আজ রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩২টি এবং পঞ্চায়েত সমিতির ৭টি আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়৷ রাজ্য নির্বাচন দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ভোট গ্রহণ পর্ব ছিল শান্তিপূর্ণ৷ প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী গড়ে ৮১০৩ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন৷
ড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে উৎসবের মেজাজেই রাজ্যের ঐতিহ্যকে বজায় রেখে রবিবার সকাল থেকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়েছে৷ তবে প্রত্যন্ত বেশ কয়েকটি জায়গায় সন্ধ্যার পরও ভে াট গ্রহণ হয়েছে ব লে খবর পাওয়া গেছে৷ জানা গেছে, কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি৷ ভোটগ্রহণ পর্ব শান্তিপূর্ণ ছিল৷ যদিও বেশিরভাগ আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন শাসক দলের প্রার্থীরা৷ জানাগেছে, রবিবার সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ প ব শুরু হয়েছে৷ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩২টি আসন এবং পঞ্চায়েত সমিতির সাতটি আসনে ভোট হচ্ছে৷ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩১৩ জন প্রার্থী৷ জানা গেছে যে, ৩,২০৭ টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল তার ৯৬ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক দলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন৷ সিপিএম কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি৷ তবে কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি আসনে৷
জানা গেছে কিছু কিছু আসনে দুই শরিক দলের মধে লড়াই হচ্ছে৷ এদিকে ভোট গ্রহণ পর্ব যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় সে ব্যাপারে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন৷ প্রতিটি বুথকেন্দ্রেই ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷
উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকের অধীন কুর্তি রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির তিন নং আসনে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে৷ সকাল সাতটা থেকে যথারিতি ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ প্রায় দুই ঘন্টা ভোট হয় শান্তিতেই৷ বেলা বাড়ার সাথে সাথে পারদ চড়তে থাকে৷ প্রথম দিকে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল শুধু৷ পরে সিপিএম এবং আইপিএফটির সমর্থকরা জড়ো হতে থাকে৷ অভিযোগ উঠেছে, শাসক দলের প্রার্থী আব্দুল খালিকের ভাইসহ আরো কয়েকজন বিজেপি কর্মী হঠাৎ করে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে এবং দরজা বন্ধ করে ব্যালটে নাকি ছাপ্পা ভোট দিতে শুরু করে৷ বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে৷ সঙ্গে সঙ্গে টিএসআর জওয়ানরা দরজা ভেঙ্গে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে এবং লাঠিচার্জ করে৷ এলোপাথাড়ি লাঠি চালানোর ফলে কয়েকজন বিজেপি কর্মী পালিয়ে যায়৷ বিজেপি প্রার্থীর ভাইকে আটক করে ধর্মনগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ মুহুর্তের মধ্যেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়৷ ধস্তাধস্তিতে কদমতলা থানার ওসি পার্থ চক্রবর্তীসহ বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন৷ এই ঘটনার ফলে কুর্তি হাইসুকলের পরিস্থিতি অনেকটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠে৷ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে সিপিএম এবং আইপিএফটি দলের প্রার্থীরা৷ জানা গিয়েছে, ঝেরঝেরি কলোনী সুকলেও কিছুটা গন্ডগোল বাধে৷ সেখানেও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়৷ পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে৷