গড়িয়া, ২৯ সেপ্টেম্বর (হি.স.): দক্ষিণ ২৪ পরগনার গড়িয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে পাঠরত ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন বাবা। গড়িয়ার নবশ্রী বাজার শিবমন্দির সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। আত্মঘাতী বাবার নাম হল, সুব্রত দাস। তিনি গ্যাস বিক্রি করতেন। ছেলে গোপাল দাস বরদা প্রসাদ স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ত। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। সুইসাইড নোটে উল্লেখ, মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। বিছানা থেকে উদ্ধার হয়েছে খুনের কাজে ব্যবহৃত ছুরি। মামলা রুজু করে জোড়া মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার পর নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতি হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সুব্রত দাস গ্যাসের ব্যবসা করতেন। তাঁর ছেলে গোপাল দাস বরদা প্রসাদ স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ত। গড়িয়া নবশ্রী বাজারের কাছে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন বাবা-ছেলে। বছর পাঁচেক আগে মুন্না জসোয়াল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে যায় সুব্রত বাবুর স্ত্রী। এরপর থেকেই এই গড়িয়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন বাবা ও ছেলে। ছেলে গোপাল দাস স্থানীয় বড়দা প্রসাদ হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তো। শনিবার সকালে দীর্ঘক্ষণ না উঠায় খোঁজ শুরু হয়। তখনই জোড়া মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশে আসে। ঘরের দরজা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকতে দেখে এলাকার মানুষদের সন্দেহ হয়, দরজা ভাঙার পর প্রতিবেশীরা দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে গোপালের নিথর দেহ। অন্যদিকে, সুব্রত বাবুর ঝুলন্ত দেহ ঘরে ঝুলতে দেখা যায়। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। তবে, এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় বলেই সেখানে উল্লেখ রয়েছে। জোড়া মৃত্যুর খবর পেয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। কি কারণে এই মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে, সুইসাইড নোট থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে চলে যাওয়া ও বাজারে প্রচুর দেনা হয়ে যাওয়ার কারণেই ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন সুব্রত বাবু। ঘর থেকে ধরালো রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ছেলেকে খুন করার পর আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা।