নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ সেপ্ঢেম্বর৷৷ এসটিজিটি এবং এসটিপিজিটি অফার প্রাপকদের দুর্র্গেৎসবের আগেই পোস্টিং দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷ প্রায় ১২০০ শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে৷
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, নবম ও দশম শ্রেণীর জন্য ৩৭০৬টি স্নাতক শিক্ষক শূণ্যপদে নিয়োগের জন্য টিআরবিটিকে বলা হয়েছিল৷ সেই মোতাবেক টিআরবিটি শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার বন্দোবস্ত করেছিল৷ তাতে ১৪৮৪ জন আবেদন জানিয়েছিল৷ তাদের মধ্যে ১৩০০ জন পরীক্ষায় বসেছিল৷ টিআরবিটি বাছাই করে ১০৯২ জনের নাম প্রস্তাব করেছিল৷ সেই মোতাবেক গত ২৯ ও ৩০ জুন শিক্ষা দপ্তর অফার বিলি করেছিল৷ কিন্তু, অফার বিলি করার সাথে সাথেই জাল সার্টিফিকেটের অভিযোগ উঠে৷ একই ভাবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য স্নাতকোত্তর শিক্ষকের ৫৫৬ টি শূণ্য পদে নিয়োগের জন্য টিআরবিটিকে বলা হয়েছিল৷ তাতে ২৫৫ জন আবেদন জানিয়েছিল৷ তাদের মধ্যে ২২৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিল৷ টিআরবিটি বাছাই করে ১৩৮ জনের নাম সুপারিশ করেছিল৷ ওই সময় তাদেরও অফার বিলি করা হয়েছিল৷ কিন্তু, জাল সার্টিফিকেটের সুনিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষা দপ্তর তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, জাল সার্টিফিকেটের অভিযোগ উঠায় পোস্টিং দেওয়া স্থগিত রাখা হয়েছিল৷ ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি অনুসন্ধান সাপেক্ষে বেশ কয়েকজন জাল সার্টিফিকেট ধারীদের সনাক্ত করতে পরেছে৷ তদন্তের কাজ আরও বাকি রয়েছে৷ তাতে ধারনা করা হচ্ছে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন জাল সার্টিফিকেট ধারীদের চিহ্ণিত করা সম্ভব হবে৷ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তদন্তের কাজ কিছুদিনের মধ্যেই সমাপ্ত হবে৷ কারণ জাল সার্টিফিকেট ধারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছায় নাম প্রত্যাহার করেছেন৷ তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দুর্গোৎসবের আগেই এসটিজিটি এবং এসটিপিজিটি অফার প্রাপকদের পোস্টিং দেওয়া হবে৷ অনুমান করা হচ্ছে প্রায় ১২০০ অফার প্রাপকদের পোস্টিং দেওয়া সম্ভব হবে৷
এদিকে শিক্ষক ব্যাঙ্ক গঠন করার লক্ষ্যে টেট নেওয়া হয়েছে৷ স্নাকোত্তর শিক্ষক পদে ২১৭৪ জন আবেদন জানিয়েছিলেন৷ তাদের মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছেন ১৭৮৯ জন৷ এদিকে স্নাতক শিক্ষক পদে ২৭৬২ জন আবেদন জানিয়েছিলেন৷ তাদের মধ্যে ২৩৩৭ জন পরীক্ষা দিয়েছেন৷ শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, জাল সার্টিফিকেট ধারীদের চিহ্ণিত করা হচ্ছে তাই হয়তো অনেকেই শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদন জানালেও পরীক্ষা দিচ্ছেন না৷