পিএ পদে চাকুরী পরীক্ষায় নম্বরের শর্তাবলীতে ক্ষুব্ধ চাকুরী প্রত্যাশীরা দেখা করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ সেপ্ঢেম্বর৷৷ রাজ্যে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন বেকার যুবক যুবতীরা৷ বেসরকারী ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ যেহেতু এখানে নেই, সরকারী চাকুরীই শেষ ভরসা৷ রাজ্যে বিজেপি জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নতুন করে নিয়োগ নীতি তৈরী করেছে৷ নিয়োগ নীতিতে টিপিএসসিতে কিছু সংশোধন করা হয়েছে৷ পূর্বের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বাতিল করে নতুনভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ কিন্তু, দেখা গিয়েছে নতুন নিয়োগ নীতিতে যেসব শর্তাবলী রাখা হয়েছে তাতে চাকুরী প্রত্যাশীদের মাথায় হাত৷ সম্প্রতি টিপিএসসির মাধ্যমে পার্সোন্যাল এসিস্টেন্ট গ্রেড টু (পিএ-টু) গ্রুপ সি নন গেজেটেড পদে ১৭৭ জন নিয়োগ করার বিজ্ঞপ্তি জারী করেছে৷ এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে চাকুরী প্রত্যাশীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে৷ এরই প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ চাকুরী প্রত্যাশীরা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সাথে সোমবার সাক্ষাৎ করার জন্য সরকারী আবাসনে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করা সম্ভব হয়নি৷ শেষে তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মনের সাথে সাক্ষাৎ করে চাকুরী প্রত্যাশীরা তাদের ক্ষোভ ও দাবী জানিয়েছেন৷

সংবাদে প্রকাশ, পিএ-টু পদের জন্য যোগ্যতার যেসব শর্তাবলী রাখা হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, প্রার্থীকে উচ্চমাধ্যমিক কিংবা সমতুল্য পরীক্ষায় ৪৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ হতে হবে৷ অথবা মাধ্যমিক পাশ হতে হবে সাথে যেকোন আইটিআই থেকে স্টেনোগ্রাফী কোর্সে ৪৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ হতে হবে৷ এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে যদি কোন প্রার্থী ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পূর্বে যেকোন আইটিআই থেকে স্টেনোগ্রাফী কোর্স করে থাকেন তাহালে তাদের ক্ষেত্রে মাধ্যমিকে ৪৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩৫ শতাংশ নম্বরকে মান্যতা দেয়া হবে৷ তাছাড়া সরকারী সংরক্ষণ নিয়ম অনুযায়ী পূর্বের মতোই ৫ শতাংশ নম্বরে ছাড় দেওয়া হবে এসসি, এসটি, এক্সসার্ভিসম্যান এবং পিএইচ ক্যাটাগরির প্রার্থীদের৷

৪৫ শতাংশ নম্বরের বিষয়টিকে মানতে পারছে না চাকুরী প্রত্যাশীরা৷ তাদের বক্তব্য হচ্ছে এসএসসি, ইউপিএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষাতেও এমন কোন নম্বরের বালাই নেই৷ এমনকি টিপিএসসিতেও পূর্বে এমন কোন শর্তাবলী ছিল না৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে চাকুরী প্রত্যাশীরা নিজেদের প্রস্তুত করেছিলেন৷ এখন হঠাৎ করে নতুন নিয়োগ নীতির কথা উল্লেখ করে নম্বরের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসায় তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে৷ অনেকেই রয়েছেন যাদের নম্বর নেই কিন্তু সংশ্লিষ্ট স্টেনোগ্রাফি কোর্সে উত্তম দক্ষতা রয়েছে৷

এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে গিয়েছিলেন বেশ কিছু চাকুরী প্রত্যাশী৷ কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ হয়নি৷ পরে তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *