গুয়াহাটি, ১৩ আগস্ট, (হি.স.) : অসমে আজ থেকে শুরু হয়ে গেছে স্বাধীনতা দিবসের সরকারি অনুষ্ঠান। ত্রিদিবসীয় স্বাধীনতা দিবসকে সর্বাঙ্গসুন্দর করতে যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।
প্রতিবারের মতো এবারও গুয়াহাটির খানাপাড়ায় অসম পশু চিকিৎসা-বিজ্ঞান মহাবিদ্যালয় ময়দানে সরকারি মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনস্থল, অতিথি আসন, মঞ্চসজ্জার কাজ শেষ। পতাকা উত্তোলনের সময় যে হ্যালিকপ্টারে পুষ্পবৃষ্টি হবে সেই চপার এবং পাইলটরাও অনুশীলন পর্ব সম্পন্ন করেছেন। এ সব তথ্য দিয়েছেন কামরূপ মহানগর জেলাশাসক বীরেন্দ্র মিত্তাল।
গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার হিরেন্দ্রচন্দ্র নাথ, জনসংযোগ অধিকর্তা রাজীবপ্রকাশ বরুয়াকে সঙ্গে নিয়ে জেলাশাসক জানান, আজ থেকে এবারের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন শুরু হয়েছে। চলবে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। সে অনুসারে আজ সোমবার আন্তঃহাইস্কুল দেশাত্মবোধক সংগীত প্ৰতিযোগিতা হবে। তাছাড়া ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন মহানগরের সব ছবিঘর যেমন অনুরাধা, প্রাগজ্যোতি, অপ্সরা, মেঘদূত, বন্দনা, উর্বশী, গেলারিয়া হাব, গোল্ড ডিজিটাল সিনেমা, নারেঙ্গি এবং লাখটকিয়ার গোল্ড সিনেমা, খ্রিস্টানবস্তির সিনেপ্লেক্স, পল্টনবাজারের গ্র্যান্ডসিনে, জিএস রোডের ডোনা প্ল্যানেট ভিআর ইত্যাদিতে বেলা ১১টা থেকে ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে দেশশাত্মবোধাক ছায়াছবি দেখানো হবে। এজন্য অষ্টম থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের বাছাই করা হয়েছে। তিনি জানান, ছাত্রছাত্রীদের নিজের নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রদত্ত আইডি নিয়ে ছবিঘরে আসতে হবে। এদিন ‘পরমাণু’ শীর্ষক ছায়াছবি বিনামূল্যে প্রদর্শিত হবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও জেলাশাসক মিত্তাল জানান, ছাত্ৰছাত্ৰীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে চিত্ৰাঙ্কন প্ৰতিযোগিতা। এর বিষয়বস্তু নির্দিষ্ট করা হয়েছে স্বচ্ছ ভারত। তাছাড়া আগামীকাল ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে আন্তঃমধ্য ইংরেজি বিদ্যালয় চিত্ৰাঙ্কন প্ৰতিযোগিতা।
অন্যদিকে, কিছু বিধি-নিষেধও জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। জানান, গতবারের মত এবারও প্লাস্টিক পতাকা বিক্ৰিরে ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলাশাসক জানান, আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিঘলিপুখুরি পারে যুদ্ধস্মারক এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি কানন সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বর, সার্কিট হাউস ইত্যাদি সরকারি প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলিও সাজানো হয়ছে। এগুলিকে রংবরঙের আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে পুলিশ কমিশনার হিরেন নাথ জানান, এ ব্যাপারে বেশ কয়েকদিন আগে থেকে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। মহানগর পুলিশ কমিশনারেট সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ইতিমধ্যে ঘিরে ফেলা হয়েছে গুয়াহাটি মহানগর। দিশপুর খানাপাড়া-সহ সব ব্যস্ত এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সোদা পোশাকের পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মী।