কলকাতা, ১২ আগস্ট (হি.স.) : অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে টুইট করে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক
ও’ব্রায়েন । রবিবার তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র প্রশ্ন তুলেছেন, ‘নাগরিকপঞ্জিতে কেন প্রায় ৪০ লক্ষ লোকের নাম নেই ? তার মধ্যে ৯৯ শতাংশই ভারতীয় নাগরিক । এটা সত্য না হলে কেন অসমে ৪০০ কোম্পানি সেনা পাঠানো হল ? প্রতিবাদীদের কণ্ঠস্বর রোধ করতেই কি এই পদক্ষেপ’?
শনিবার কলকাতায় যুব মোর্চার সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও নাগরিকপঞ্জি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন । তিনি হুঙ্কার দেন, ‘মমতাদিকে বলতে চাই, আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী । দেশই আমাদের অগ্রাধিকার । যতই বিরোধ করুন নাগরিকপঞ্জি তৈরির প্রক্রিয়া থামাব না ‘। বিরোধীরা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করে অমিত শাহ বলেন, ‘অসম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী । সেই মতো অসম থেকে অনুপ্রবেশকারী বিতারণের কাজ চলছে। অনু্প্রবেশকারী নিয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেসকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে । ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির কারণে তারা নীরব অবস্থান নিয়েছে । তাদের বলতে, দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপোষ করা হবে কিনা’।
নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিরোধীদের একহাত নেন নরেন্দ্র মোদী ।এদিন এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘যাঁরা নিজেদের উপরে ভরসা হারিয়েছেন, জনসমর্থন হারানোর ভয় পাচ্ছেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের উপরেও বিশ্বাস নেই, তাঁরাই দেশকে টুকর টুকরো, রক্তগঙ্গা ও গৃহযুদ্ধের মতো মন্তব্য করছেন । দেশের প্রতি তাঁদের টান নেই’। দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, দেশের অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে । এর ফলে ‘গৃহযুদ্ধ’ লাগলে ‘রক্তগঙ্গা’ বইতে পারে । মমতার নাম নিয়ে মোদী স্মরণ করিয়ে দেন, ২০০৫ সালে সংসদে কী করেছিলেন তিনি, সেটা মনে করা উচিত ওনার । তখন মমতাজির অবস্থান সঠিক ছিল, নয়তো এখন ওনার অবস্থান সঠিক ? একইসঙ্গে মোদীর আশ্বাস, কোনও নাগরিক দেশ ছেড়ে যাবেন না । নাগরিকত্ব প্রমাণের সমস্তরকম সুযোগ দেওয়া হবে । সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতেই নাগরিকপঞ্জির প্রতিশ্রুতি পূরণ করব’। নাগরিকপঞ্জি নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী । তাঁর কথায়, ‘এনআরসি নিয়ে রাজনীতি করছে কংগ্রেস । তিন দশক আগে সাধারণ মানুষের চাপে অসম চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন রাজীব গান্ধী । তারপর থেকে একাধিকবার কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে অসম, তবে তারা কিছুই করেনি । মানুষকে বিভ্রান্ত করে গিয়েছে । সমস্যা জেনেও ভোটব্যাঙ্কের কারণে বাড়তে দিয়েছে কংগ্রেস’।

