নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ আগষ্ট৷৷ ত্রিপুরায় কংগ্রেস এখন সাইনবোর্ড-সর্বস্ব হয়ে পড়েছে। একজন বিধায়কও নেই দলের। তবে দলের চিরাচরিত প্রথা মোতাবেক অন্তর্কলহ বহাল রয়েছে। দলের এক প্রবীণ নেতার মতে, ত্রিপুরায় কংগ্রেস এখন হাড়-চর্ম-সর্বস্ব দল। তার পরও পূর্বের মতো সভাপতি পদের জন্য অন্তর্কলহ বহাল রয়েছে। এমন-কি মারমুখী বিবদমান দুই গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিচ্ছে।
দলবিরোধী কাজের অভিযোগ এনে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাপ্টু চক্রবর্তীকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে মঙ্গলবার রাতে। তা-ও আবার আগরতলা থেকে নয়। বর্তমান সভাপতি বীরজিৎ সিনহার নির্বাচনী ক্ষেত্র কৈলাসহর থেকে এক প্রেসবার্তা জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বুধবার সকালে কংগ্রেসের ডাকসাইটে যুবনেতা তথা রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বাপ্টু চক্রবর্তী তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি জানান, এই সিদ্ধান্ত অনৈতিক, সাংগঠনিক গণতন্ত্রের পরিপন্থী এবং অমানবিক। রাজ্যে কংগ্রেসকে আরও দুর্বল করার চক্রান্ত হচ্ছে। আর এই সিদ্ধান্ত তারই অঙ্গ। জানা গেছে, বীরজিৎ সিনহাকে অপসারণের দাবিতে দিল্লিতে গিয়ে দরবার করছিলেন এই যুব নেতা। এমন-কি একাধিক অভিযোগও এআইসিসির কাছে জমা পড়েছে বীরজিৎ সিনহার বিরুদ্ধে।
এদিকে পিসিসি-র প্রবীণ সদস্যরা জানিয়েছেন, বাপ্টুবাবু যদি পিসিসি সভাপতির চেয়ার লাভের ইচ্ছায় দলবিরোধী কাজ করে থাকেন তা হলে বীরজিৎ সিনহা ভুল রাজনৈতিক ফাঁদে পা দিয়েছেন। বাপ্টুকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে অবৈধ এবং দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী বলে জানিয়েছেন পিসিসির বেশ কয়েকজন প্রবীণ সদস্য। জানা গেছে, দল বিরোধী কাজের অভিযোগে বাপ্টু চক্রবর্তীকে কংগ্রেস থেকে ছয় বছরের জন্য বরখাস্তের কাগজে স্বাক্ষর করেছেন দলের আরেক সম্পাদক মানিক দেব।
খবর, বাপ্টু চক্রবর্তী লবির সদস্যরা বুধবার সকালেই দিল্লি উড়ে গেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন। একই সঙ্গে কংগ্রেসের বিবদমান দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।

