নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ আগস্ট৷৷ অঘোষিত জরুরী অবস্থার মতই পরিস্থিতি হয়েছে ত্রিপুরার৷ বিজেপির শাসনে পাঁচ মাসেই রাজনৈতিক এবং

অর্থনৈতিকভাবে ভয়ঙ্করভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই রাজ্য৷ ফলে, পাঁচ বছরে এই রাজ্যের আরো সর্বনাশ হওয়া নিশ্চিত, বিজেপির প্রতি উষ্মা প্রকাশ করে একথা বলেন সমাজসেবী মেধা পাটকর৷ মূলত, রাজ্যে নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি সরেজমিনে পরখ করে নেওয়ার জন্য মেধা পাটকর সহ সিপিএমের সাংসদ, প্রাক্তন সাংসদ এবং দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকে নিয়ে এক সত্যানুসন্ধানি দল রাজ্য সফর শেষে রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপিকে এভাবেই সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে৷ তাঁদের মতে, রাজ্যে বিজেপির শাসন গণতন্ত্রকে ধবংস করে দিচ্ছে৷ তাই ওই দলের সদস্য বিহারের প্রাক্তন বিধায়ক রাজারাম সিংহের সাফ কথা, ভারত ৭০ বছরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে৷ দেশের কোন অংশেই এই গণতন্ত্র ধবংস হতে দেব না৷
এদিন মেধা পাটকর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত সফরের বর্ণনা তুলে ধরেন৷ বহু মানুষ, ঘরবাড়ি, পার্টি অফিস আক্রান্ত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, রাজ্যে নির্বাচনোত্তর মানুষের জীবন জীবিকায় কোন প্রভাব পড়েছে কিনা, তা দেখার জন্যই এসেছি৷ তাতে মনে হয়েছে, রাজ্যের অবস্থা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে৷ তাঁর বক্তব্য, এরাজ্যে রাজনৈতিক অধিকার হননের চেষ্টা চলছে৷ শাসকদল এরাজ্যে কী বহুদলীয় গণতন্ত্র ধবংস করতে চাইছে, এমন প্রশ্ণও উঠেছে৷ তাঁর মতে, এমন দৃষ্টিভঙ্গি শুধু রাজ্য নয়, গোটা দেশের জন্য ভয়ঙ্কর৷ তাঁর কথায়, নতুন সরকার গঠনের পাঁচ মাসেই রাজ্যের পরিস্থিতি এমন হলে, পাঁচ বছরে কি হাল হবে, তা ভাবতে হবে৷ মেধা পাটকর উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, এরাজ্যে অঘোষিত জরুরী অবস্থার মতোই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে৷ ওই সত্যানুসন্ধানী দলের সদস্য বিহারের প্রাক্তন বিধায়ক রাজারাম সিং বলেন, গণধোলাইয়ের ঘটনা সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে৷ কিন্তু, সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হল, কেবলমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই গণধোলাইয়ের ঘটনাগুলি ঘটেছে৷ তাঁর কটাক্ষ, বিজেপি গণধোলাইতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে৷ তাই, এধরনের ঘটনায় বহু প্রাণহানী হয়েছে৷ তাঁর কথায়, বিজেপির শাসন গণতন্ত্রকে ধবংস করে দিচ্ছে৷ গোটা দেশের পাশাপাশি এরাজ্যেও একই হাল করেছে বিজেপি৷ তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের ব্যথা গোটা দেশকে জানাব৷ ভারত ৭০ বছরে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করেছে৷ দেশের কোন অংশেই এই গণতন্ত্রকে ধবংস হতে দেব না৷
দলের সদস্যরা আরো জানিয়েছেন, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে আলোচনা করা হবে৷ নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে এরাজ্যে মানুষের দুর্দশার বর্ণনা সংসদে তুলে ধরা হবে৷