এনআরসি ইস্যুতে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের অবস্থান নিয়ে খোঁচা অমিতের, গৃহযুদ্ধের হুশিয়ারি মমতার

নয়াদিল্লি, ৩১ জুলাই (হি.স.) : অসমে সম্প্রতি প্রকাশিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র পূর্নাঙ্গ খসড়া রিপোর্টের পর থেকে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। এই ইস্যুতে মঙ্গলবারও  সংসদে সরব হয় বিরোধীরা। রাজ্যসভায় এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। কিন্তু বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে নিজের বক্তব্য শেষ করতে পারেননি তিনি। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে এই ইস্যুতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অমিত শাহ। এই ইস্যুতে বিরোধীদের অবস্থান কি তা জানতে চান তিনি। দিল্লিতে আয়োজিত বিশপদের সম্মেলনে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র পূর্নাঙ্গ খসড়ার বিরুদ্ধে সরব হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে। অসমের বহু জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গৃহযুদ্ধে পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ওই একই ইস্যু নিয়ে আলোচনা করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেনও মুখ্যমন্ত্রী। সংসদের বাইরে এই ইস্যুতে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ও বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে। এই ইস্যুতে সংসদ ভবনে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্ণা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদেরা। প্রকৃত ভারতীয়দের দেশের বাইরে পাঠানো উচিত নয়, অসম এনআরসি ইস্যুতে বার্তা দেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ।

অসমে এনআরসি ইস্যু নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ অমিত শাহ-র বক্তব্য নিয়ে উত্তাল হল সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা| ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী সাংসদরা| তুমুল হইহট্টগোলের জেরে দিনের মতো মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভার অধিবেশন| মঙ্গলবার অসম এনআরসি ইস্যুতে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অমিত শাহ বলেছেন, ‘সমস্ত বিরোধী নেতাদের কথা শুনছিলাম আমি| কিন্তু, এই কথা কাউকেই বলতে শুনলাম না যে, এনআরসি কেন আনা হল? অসমে এই ইস্যুতে বৃহত্ আন্দোলন হয়েছে| অনেক মানুষের মৃত্যুও হয়েছে| ১৯৮৫ সালের ১৪ আগস্ট অসম চুক্তি সই করেছিলেন রাজীব গান্ধী| যা আসলে এনআরসি-র সমতুল্য|’ কংগ্রেস সাংসদদের উদ্দেশ্যে অমিত শাহ বলেছেন, ‘আপনারা কি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে চান? আপনাদের প্রধানমন্ত্রী অসম চুক্তি করেছিলেন| কিন্তু, নাগরিক পঞ্জি তৈরির সাহস ছিল না কংগ্রেসের, তাই রূপায়ণ করতে পারেননি| আমাদের আছে, তাই করেছি|’ একথা শুনে বিজেপি সাংসদরা টেবিল চাপড়ে অমিতকে অভিনন্দন জানান| কিন্তু, বিরোধীরা খেপে ওঠে| ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস সাংসদরা|

গণতন্ত্রের পীঠস্থান সংসদে বিরোধীদের বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেছেন, ‘গোটা দেশ আমাদের দেখছে| গণতন্ত্রকে ব্যঙ্গ করবেন না|’ নাইডুর কথায়, ‘আপনারা শান্ত হন|’ এরপরও হইহট্টগোল থামেনি, তাই বাধ্য হয়েই প্রথমে দুপুর ১.১০ পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু| এরপর দিনের মতোই মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন|

পরে সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেন, সংসদে বিভিন্ন দলের বক্তব্য আমি শুনলাম। শুনে অবাক হয়ে গেলাম অসমে প্রকাশিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি যে খসড়া প্রস্তাবনা সেই বিষয়টি কেউ উল্লেখ করেন । কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলগুলি বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক । অনুপ্রবেশকে উৎসাহ দিলে দেশের সীমান্ত এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় আমরা কার্যকর করব। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধ তোপ দেগে অমিত শাহ বলেন, গৃহযুদ্ধের কথা বলে দেশকে একবার ভাগ করেছেন। আপনারা কি বলতে চাইছেন? তৃণমূল কংগ্রেসকে বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে।

মানবাধিকারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, যদি আপনারা মানবাধিকারের কথা বলেন তবে অসমের নাগরিকদের মানবাধিকার কি হবে? শিক্ষা, চাকরি অধিকার তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটা মানবাধিকার নয় পাল্টা প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এর জন্যই এনআরসি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে করে ভারতবাসী নিজেদের অধিকার সুরক্ষিত করতে পারে।

এই বিষয়ে কংগ্রেসের নিন্দা করে অমিত শাহ বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল তখন অসম অ্যাকড চুক্তি স্বাক্ষরিত করা হয় রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে। এই চুক্তির ফসল হচ্ছে এনআরসি। বিজেপি সব সময় জাতীয় স্বার্থ দেখেছে। তৃণমূল কংগ্রেস ভোটের ফায়দা তুলতে চাইছে। ১৯৭১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন কোনও বাংলাদেশিদের জবরদখলকারীদের ভারতে থাকতে দেওয়া হবে না।

অমিত শাহ আরও বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজের সাধারণজ্ঞানকে ঠিক করুন। আমরা নিজেরা যখন বিরোধী বেঞ্চে ছিলাম তখনও বিষয়টিকে আমরা সমর্থন জানিয়ে ছিলাম। অমিত শাহ আশ্বস্ত করে বলেন, এটি একটি খসড়া সূচী। আর যদি কোনও ভারতীয় নাগরিক এতে বাদ হয়ে যায় তবে তারা পুনরায় আবেদন করতে পারবে।

জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র পূর্নাঙ্গ খসড়া প্রসঙ্গে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দিল্লি সফররত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশপদের এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, এনআরসি-র নাম করে অসমে কি হচ্ছে? বাঙালি ছাড়াও, সংখ্যালঘু, বিহারি সহ ৪০ লক্ষ মানুষ গতকালও শাসকদলকে ভোট দিয়েছিল। আর আজ তারা নিজের দেশের উদ্বাস্তু হয়ে গেলো? আমি আমার মাতৃভূমিকে দ্বিখণ্ডিত হিসেবে দেখতে চাই না। বাংলায় এরকম জিনিসকে আমরা বরদাস্ত করব না। অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটকেও এরকম ঘটনা ঘটবে না। কারণ সেখানে চন্দ্রবাবু নাইডু, কুমারস্বামী রয়েছেন।

এদিন নাম না করে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুধুমাত্র জেতার জন্য মানুষকে দুর্ভোগে ফেলা হচ্ছে। যেসব মানুষের নাম ওই তালিকায় নেই তারা নিজেদের অর্ধেক পরিচয় হারিয়ে ফেলেছে। দেশভাগের আগে ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান এক সঙ্গে ছিল। ১৯৭১ সালের আগে যারা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসেছিল তারা ভারতের নাগরিক। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র করে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফাকরুদ্দিন আলি আহমেদ পরিবারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফাকরুদ্দিন আলি আহমেদের পরিবারবর্গের সদস্যদের নাম তালিকায় নেই। এমন বহু মানুষের নাম তালিকায় নেই।

বিশপদের সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন অসমে বিভাজন করে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। অসমের সিংহভাগ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

শুধু ভাষণ দিয়েই থেমে থাকেননি তিনি। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি সফর গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুইজনের মধ্যে একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বিলের (এনআরসি) সংশোধন বা নতুন বিল আনার প্রস্তাবের দাবি জানিয়েছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি ওনাকে(স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বিল সংশোধন করতে বলেছি বা নতুন বিল পেশ করতে বলেছি। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন তারা(সরকার) জনগণকে ব্যতিব্যস্ত করবে না। বাংলায় জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বাস্তবায়িত নিয়ে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমি তাকে(স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) জানিয়েছি এরকম কোনও ঘটনা ঘটলে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, আমি তাঁকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জানিয়েছি, জাতীয় নাগরিকপঞ্জির খসড়া অসম অ্যাকডের ধারা অনুযায়ী হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় কাউকে উত্যক্ত করা হয়নি। প্রক্রিয়াটির প্রতিটি ভাগে পর্যাপ্ত সুবিধা সবাইকে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে এই একই ইস্যুতে সংসদের বাইরে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অশ্বিনী চৌবে।

সংসদের ভেতর দিনভর জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি ) নিয়ে উত্তাল ছিল। সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে এনিয়ে রাজ্যসভা ও লোকসভায় ব্যাপক বাদানুবাদ হয়। সেই উত্তাপই দেখা গেল সংসদের বাইরে। তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেসের সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ও বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে। দুই রাজনীতিবিদের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি হয়।

এদিন সংসদের বাইরে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে দাবি করেন বাংলাদেশি মুসলমানদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এটা শুনতে পেয়ে প্রতিবাদ করে ওঠেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আপনি কিছু জানেন না। না জেনে উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। পাল্টা অশ্বিনী চৌবে বলেন, আপনার কি অধিকার রয়েছে বলার। আপনি কে, যে আমার কথা আটকাচ্ছেন? তখন পাল্টা প্রদীপবাবু বলেন, “আমি রাজ্যসভার সাংসদ।” তখন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অশ্বিনী বলেন, “আমিও সংসদের সদস্য।” পাল্টা প্রদীপবাবু বলেন, দেশবাসীকে আপনি ভুল পথে চালিত করছেন? পাল্টা অশ্বিনী বলে ওঠেন, যাঁরা ভারতীয় হয়ে থাকবে তাঁরাই এই দেশের নাগরিক। বাংলাদেশি মুসলমানদের দেশ থেকে তাড়ানো উচিত। এর প্রেক্ষিতে প্রদীপবাবু বলেন ‘ওরাও ভারতীয়’। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, অশ্বিনী চৌবে ভুল পথে চালিত করছে।

এদিকে, এনআরসি অসম ইস্যুতে মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না-বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন তৃণমূল সাংসদরা| পোস্টার হাতে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, সন্ধ্যা রায়, ইদ্রিশ আলি, মণীশ গুপ্তা, শতাব্দী রায়, প্রতিমা মণ্ডল সহ অন্যান্য তৃণমূল সাংসদরা| এর আগে এনআরসি অসম ইস্যুতে সংসদে মুলতুবি প্রস্তাবও আনেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়|

শুধু তৃণমূল সাংসদরাই নন, এনআরসি অসম ইসু্যতে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্না ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন সমাজবাদী পার্টি এবং আম আদমি পার্টি (আপ)-র সাংসদরাও| হাতে পোস্টার নিয়ে উপস্থিত ছিলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন প্রমুখরা| অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ (এনআরসি)-এর খসড়া তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর চরম উত্কণ্ঠায় রয়েছেন প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ| কারণ, জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ (এনআরসি)-এর অংশ হওয়ার দাবি জানিয়ে আবেদন করেছিলেন ৩.২৯ কোটি মানুষ| তবে, তালিকায় রয়েছে ২.৮৯ কোটি মানুষের নাম| আর তাই চরম উত্কণ্ঠায় রয়েছেন প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ| তবে, অভয় দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং| রাজনাথের মতে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই|

এনআরসি অসম ইস্যুতে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ গুলাম নবি আজাদ বলেছেন, ‘প্রকৃত ভারতীয়দের দেশের বাইরে পাঠানো উচিত নয়| এনআরসি নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয় এবং ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে কখনই ব্যবহার করা উচিত নয়| এটি একটি মানবাধিকার ইস্যু, নাকি হিন্দু-মুসলিম ইস্যু|’

এনআরসি অসম ইস্যুতে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) শাসিত অসম সরকারকে নিশানা করেছেন বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা)-র সুপ্রিমো মায়াবতী| এনআরসি অসম ইস্যুতে মায়াবতী বলেছেন, ‘অসমে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করা সত্ত্বেও, যদি কেউ নিজের নাগরিকত্বের প্রমাণ না দিতে পারেন, তার মানে এই নয় যে তাঁদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে|’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *