প্রকাশিত এনআরসি পূর্নাঙ্গ খসড়া নিয়ে দিনভর সরগরম জাতীয় রাজনীতি, উত্তাল সংসদ, আশ্বাস রাজনাথ

নয়াদিল্লি, ৩০ জুলাই (হি.স.): অসমে প্রকাশিত হল জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র দ্বিতীয় তথা পূর্নাঙ্গ খসড়া তালিকা নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি | খসড়ায় ২ কোটি ৮৯ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬৭৭ নাগরিককে বৈধ হওয়ার বিপরীতে ৪০ লক্ষ ৭ হাজার ৭০৮ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংসদের উভয়কক্ষে হইচই জুড়ে দেন বিরোধী সাংসদরা । বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভায় তুমুল হইচই করে তৃণমূল। পরপর দু’বার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায় । এদিন বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হয় লোকসভাও | বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপি সরকার বিষয়টি কার্যকর করছে অত্যন্ত ধীর গতিতে, যার জেরে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বহু ভারতীয় নাগরিকের নাম ওই চূড়ান্ত খসড়ায় নেই বলে শোনা যাচ্ছে। সরকার দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্যোগী হোক। বিষয়টি নিয়ে দিনভর সরগরম ছিল পশ্চিমবঙ্গ | বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাহনওয়াজ হুসেন। ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দেশে কোনও স্থান নেই। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, এনিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই । এনআরসি নিয়ে দিল্লিতে নোংরা রাজনীতি চলছে বলেন কিরেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার অসমে প্রকাশিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)দ্বিতীয় তথা পূর্নাঙ্গ খসড়া তালিকা | দশটায় আরজিআই এস শৈলেশ এবং প্রতীক হাজেলা গুয়াহাটির এনআরসি সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রকাশ করেছেন এনআরসি-র নবায়িত খসড়া।

যে তালিকায় অসমের ২ কোটি ৮৯ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬৭৭ নাগরিককে বৈধ বলে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এনআরসি-তে। বহু প্রতীক্ষিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়িত পূর্ণাঙ্গ খসড়ায় ২ কোটি ৮৯ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬৭৭ নাগরিককে বৈধ হওয়ার বিপরীতে ৪০ লক্ষ ৭ হাজার ৭০৮ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এনআরসি-র জন্য আবেদন করেছিলেন ৩ কোটি ২৯ লক্ষ ৯১ হাজার ৩৮৫ জন।

সোমবারই প্রকাশিত খসড়া তালিকায় ৪০ লক্ষ বাসিন্দার নাম না থাকার বিষয়টি নিয়ে সংসদের উভয়কক্ষে হইচই জুড়ে দেন বিরোধী সাংসদরা । বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভায় তুমুল হইচই করে তৃণমূল। পরপর দু’বার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায় । এদিন বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হয় লোকসভাও | যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, এনিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই । সোমবার অসমে প্রকাশিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র খসড়ায় ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে তাদের প্রতিবাদ জানান তৃণমূল সাংসদরা। এদিন রাজ্যসভায় বিষয়টি তোলেন তৃণমূল সদস্য সুখেন্দুশেখর রায় | এবিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন। ৪০ লক্ষ মানুষের ভবিষ্যত কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। চেয়ারম্যান বেঙ্গাইয়া নাইডু জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে অনুরোধ করেছেন। যদিও তাতেও চুপ করেননি সাংসদরা। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল সাংসদরা আলোচনার দাবি করে হইচই জুড়লে রাজ্যসভা মুলতুবি করে দেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।

এদিন বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হয় লোকসভায়ও | এদিন লোকসভায় তৃণমূলের তরফে বিষয়টি উত্থাপন করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিমও বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য রাখেন। কংগ্রেসের প্রতিবাদ কংগ্রেসের তরফে মল্লিকার্জুন খার্গে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য রাখেন লোকসভায়। অসমের কংগ্রেস সাংসদরা বিষয়টি নিয়ে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।

বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপি সরকার বিষয়টি কার্যকর করছে অত্যন্ত ধীর গতিতে, যার জেরে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বহু ভারতীয় নাগরিকের নাম ওই চূড়ান্ত খসড়ায় নেই বলে শোনা যাচ্ছে। সরকার দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্যোগী হোক।

ফেসবুক পোস্টে কংগ্রেস সভাপতি লিখেছেন, ১৯৮৫ সালের অসম চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে মনমোহন সিংহের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র ও অসমের বিজেপি সরকার যে ভাবে এই প্রক্রিয়া কার্যকর করছে, তাতে অনেক প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। অসমের নানা জায়গা থেকে খবর আসছে, বহু ভারতীয় নাগরিকের নাম নেই খসড়া নাগরিকপঞ্জিতে। ফলে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতা বোধ তৈরি হয়েছে। এটা পরিষ্কার, প্রায় ১২০০ কোটি টাকা খরচ করে এই জটিল, অত্যন্ত সংবেদনশীল প্রক্রিয়ার রূপায়ণ হয়েছে খুব ধীরে। সরকারকে এই সঙ্কট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। তিনি দলীয় কর্মীদের শান্তি বজায় রাখতে ও জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায় নির্বিশেষে যাদের প্রতি খসড়া নাগরিকপঞ্জিতে ‘অবিচার’ করা হয়েছে, তাঁদের সাহায্য করতে বলেছেন।

সোমবার অসমে প্রকাশিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র পূর্নাঙ্গ খসড়া নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাহনওয়াজ হুসেন। খসড়া তালিকা থেকে ৪০ লক্ষ মানুষের বাদ পড়ায় তিনি বলেন, বিদেশের বহু মানুষ কাজের জন্য আসেন। কিন্তু আইনগত ভাবে তারা দেশের বাসিন্দা হয়ে যেতে পারেন না। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দেশে কোনও স্থান নেই। তিনি বলেন, দেশে অনুপ্রবেশের সমস্যা প্রথম থেকেই রয়েছে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত কোনও ধর্মশালা নয়, যে কেউ আসবে আর তার দায় দেশের মানুষকে নিতে হবে।

এনআরসির খসড়ায় যাঁদের নাম আসেনি তাঁদের অভয় দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিন লোকসভায় তিনি বলেছন, যে সব নাগরিকের নাম এনআরসির খসড়া তালিকায় আসেনি তাঁরা প্রয়োজনীয় নথিপত্র-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করতে পারবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফের বলেছেন, নাম নথিভুক্ত হয়নি এমন কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে না। যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে তা চূড়ান্ত নয়, খসড়া। অতএব এঁদের এখনই অবৈধ নাগরিক বলা যায় না। তিনি আরও বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সরাসরি পর্যবেক্ষণে এনআরসি-র দলিল অত্যন্ত নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের জনসাধারণের প্রতি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।

পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, এনআরসির নবায়িত পূর্ণাঙ্গ খসড়াকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে বিরোধীরা নোংরা রাজনীতি করছেন। যে বিষয়টি মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিত পথে যে খসড়া তৈরি হয়েছে তার প্রতি কোনও ধরনের সন্দেহ থাকা মোটেও উচিত নয়। তিনি বলেছেন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জির খসড়া তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা অবলম্বন করে। তা তৈরি করতে কেন্দ্র অথবা রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। অতএব একে কেন্দ্র করে রাজনীতির কোনও অবকাশ নেই, বলেছেন কিরেন রিজিজু। একে নিয়ে সন্দেহ আর নোংরা রাজনীতি করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ওপর অনাস্থা প্রকাশের চেষ্টা চলছে বলে মনে করেন তিনি। তবে যাঁদের নাম খসড়ায় স্থান পায়নি তাঁরা অবশ্যই ফের আবেদন করতে পারবেন। শঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই, বলেছেন তিনি।

অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির খসড়া তালিকা প্রকাশের পর সতর্ক ত্রিপুরা । বিষয়টি অসমের হলেও এ নিয়ে ত্রিপুরার সর্বত্র চর্চা এখন তুঙ্গে। রাজ্য সচিবালয় থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, অসমের বহুচর্চিত সম্পূর্ণ জাতীয় নাগরিকপঞ্জির খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর ত্রিপুরায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অসম থেকে যাতে কেউ ত্রিপুরায় এসে হামলা-হুজ্জুতি করতে না পারে তার জন্য ত্রিপুরার সীমান্তগুলিতে কড়া সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে, অসমের এনআরসি থেকে নাম বাদ পড়েছে এমন নাগরিকরা ত্রিপুরায় প্রবেশ করে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারেন। এই আশঙ্কায় সমগ্র ত্রিপুরাকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকার পুলিশ প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে প্রতিবেশী অসম থেকে একজন সন্দেহভাজন লোক যেন রাজ্যে প্রবেশ করে হামলা করতে না পারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্তঃরাজ্য সীমান্তে কড়া নজরদারি চলছে। সীমান্তগুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে দিনভর সরগরম ছিল পশ্চিমবঙ্গও |

আজ, জাতীয় নাগরিকপঞ্জির খসড়া তালিকা প্রকাশের পর একে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছে বিজেপি-র অসম প্রদেশ। দলের প্রদেশ সভাপতি রঞ্জিতকুমার দাস বলেছেন, রাজ্যের জনসাধারণের বহু প্রত্যাশিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল নেতৃত্বাধীন সরকার তাদের ওপর অর্পিত জাতীয় তথা সামাজিক দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করেছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্রক্রিয়া অসমের সমাজজীবনের একটি অন্যতম সমস্যা সমাধানের পথ প্রশস্ত করবে বলে মনে করেন বিজেপি-র প্রদেশ সভাপতি দাস।

এ প্রসঙ্গে স্পর্শকাতর এই বিষয় সম্পর্কে সস্তা রাজনীতি না করতে বিরোধীদের পরামর্শ দিয়েছেন রঞ্জিত দাস। এনআরসি থেকে নাম পড়েছে এমন নাগরিকদের শঙ্কিত না হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। রঞ্জিত বলেন, যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁদের ফের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় নথিপত্রের বলে তাদের নাম চূড়ান্ত এনআরসি-র তালিকায় সন্নিবিষ্ট হবে। তিনি বলেন, আজ যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে তা চূড়ান্ত নয়, খসড়া-মাত্র। ফলে এ ব্যাপারে শঙ্কিত হওয়ার কোনও অবকাশ নেই বলে রঞ্জিত দাস সংশ্লিষ্টদের আশ্বস্ত করেছেন।

প্রদেশ সভাপতি বলেন, নাম বাদ পড়া নাগরিকদের পরবর্তী ধাপে এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত করতে যাবতীয় সহায়তা করতে ইতিমধ্যে বিজেপি-র সর্বস্ততরের কার্যকর্তাদের নির্দেশ তিনি দিয়েছেন। এনআরসি নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নিয়োজিত রাজ্য সরকারের সকল আধিকারিক ও কর্মচারী এবং সর্বোপরি এ কাজে সহযোগিতা করার জন্য সর্বস্তরের নাগরিকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজেপি-র প্রদেশ সভাপতি রঞ্জিতকুমার দাস।

এদিকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল এনআরসি-র কাজের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারিকর্মীদের পাশাপাশি রেজিস্টার জেনারেল অফ ইন্ডিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিশেষ করে এনআরসির কাজের সঙ্গে যুক্ত ৫৫ হাজার সরকারি কর্মীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাঁদের নাম এই খসড়ার নেই, তাঁদেরও আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *