কলকাতা, ৩১ জুলাই (হি.স.): বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)| জালনোট পাচার চক্রের পর্দাফাস করতে গিয়ে, বড়সড় অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর এফআইসিএন টিম| সোমবার ময়দান থানা এলাকা থেকে জালনোট ও অর্ধসমাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় তিনজন জালনোট ও অস্ত্র সরবরাহকারীকে| ধৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে ১ লক্ষ টাকার জাল ভারতীয় নোট, উদ্ধার হওয়া প্রত্যেক নোটই নতুন ৫০০ টাকার| জালনোট উদ্ধার হওয়ার পাশাপাশি ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে অর্ধসমাপ্ত দেশীয় পিস্তল| এখানেই শেষ নয়, জালনোট ও অস্ত্র সরবরাহকারীদের মধ্যে একজনকে জেরা করে অস্ত্র কারখানার হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা|
মহানগরীরর সন্নিকটে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের জগদ্দল থানার অন্তর্গত ছোট শ্রীরামপুর এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে অস্ত্র কারখানার হদিশ পেয়েছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর এফআইসিএন টিম| অস্ত্র কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪০টি অর্ধসমাপ্ত দেশীয় পিস্তল এবং লেদ মেশিন| অস্ত্র কারখানায় কাজ করার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ছ’জন সন্দেহভাজনকে| কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সূত্রের খবর, সোমবার ময়দান থানা এলাকা থেকে জালনোট ও অর্ধসমাপ্ত দেশীয় পিস্তল সহ তিনজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়| ধৃতদের নাম হল, মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা সুকু শেখ (৩৮), বিহারের মুঙ্গের জেলার বাসিন্দা আমজাদ রায়েন এবং বিহারের কাশিমবাজারের বাসিন্দা মহম্মদ আবদুল্লা (২৬)| জালনোট এবং অর্ধসমাপ্ত অস্ত্র আদানপ্রদান করার সময় তিনজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়| ধৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় ১ লক্ষ টাকার জালনোট, সবমিলিয়ে ৪০টি নতুন ৫০০ টাকার জালনোট উদ্ধার হয়| এছাড়াও অর্ধসমাপ্ত বেশ কয়েকটি দেশীয় পিস্তলও উদ্ধার হয় ধৃতদের হেফাজত থেকে|
অর্ধসমাপ্ত দেশীয় পিস্তল সম্পর্কে ধৃতদের জেরা করে বড়সড় অস্ত্র কারখানার হদিশ পান তদন্তকারীরা| এরপরই বিহারের কাশিমবাজারের বাসিন্দা মহম্মদ আবদুল্লা-কে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের জগদ্দল থানার অন্তর্গত ছোট শ্রীরামপুর এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে অস্ত্র কারখানার হদিশ পায় কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর এফআইসিএন টিম| অস্ত্র কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪০টি অর্ধসমাপ্ত দেশীয় পিস্তল এবং লেদ মেশিন| এছাড়াও দু’টি মিলিং মেশিন এবং ড্রিলিং মেশিন উদ্ধার হয়েছে| অস্ত্র কারখানায় কাজ করার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ছ’জন সন্দেহভাজনকে| ধৃতদের নাম হল, মহম্মদ সাবির (২৮), মহম্মদ শায়ুদ আলম (২৪), মহম্মদ শাহনওয়াজ ওরফে মিস্টার (২৫), মহম্মদ ফৈজাল (২৪), মহম্মদ রাজি ওরফে রাজু (১৯) এবং মহম্মদ চাঁদ (২৪)| প্রত্যেকেরই বাড়ি প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে| একমাত্র সাবিরের বাড়ি মহারাষ্ট্রেও| ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং অস্ত্র আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে|