BRAKING NEWS

এনআরসি : মমতার বিরুদ্ধে অসমের নাহরকাটিয়া থানায় এফআইআর

নাহরকাটিয়া (অসম), ৩১ জুলাই (হি.স.) : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উজান অসমের ডিব্রুগড় জেলার অন্তর্গত নাহরকাটিয়া থানায় এফআইআর করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি প্রসঙ্গে সাম্প্রদায়িক, বিভেদকামী, উসকানি ও প্ররোচনামূলক বক্তব্য পেশ করে রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন করতে চাইছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে এফআইআর-এ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভারতীয় জনতা যুবমোর্চার তিন কার্যকর্তা দুলিয়াজানের জগদীশ সিং, জয়পুরের মৃদুল কলিতা এবং নাহরকাটিয়ার অমূল্য চেংলারি এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রেজিস্টার্ড হয়নি বলে সূত্রের খবরে প্রকাশ। এফআইআর-এ এই সব অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিষ়েছেন তাঁরা।

এফআইআর-এ তাঁরা বলেছেন, ঐতিহাসিক অসম আন্দোলনে ৮৫৫ শহিদের বলিদানের ফসল এনআরসি-র খসড়াকে গোটা অসমের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাগত জানাচ্ছেন। রাজ্যের কোথাও কোনও অশান্তি নেই। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রত্যক্ষ নিরীক্ষণে চলছে এনআরসি নবায়নের প্রক্রিয়া। এরই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্যে অসমের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। তাই তাঁরা এর বিধান চেয়েছেন পুলিশ প্রশাসনের কাছে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গতকাল অসমে যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র সম্পূর্ণ খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে তাতে অসম এবং কেন্দ্রের এনডিএ সরকার কলমের এক খোঁচায় ৪০ লক্ষ নাগরিককে রাতারাতি উদ্বাস্ত করে দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে নাকি সেনা নামিয়ে বাঙালি খেদাও, বিহারি খেদাও অভিযান চালানো হচ্ছে।

মমতার এই বক্তব্যে অসমের বহু বাঙালিও প্রতিবাদ করছেন। তাঁরা বলছেন, অসমের বাঙালি জনগোষ্ঠীর মানুষের জন্য কুম্ভিরাশ্রু বর্ষণ করছেন মমতা। এখানে কোনও সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব নেই। যে সব মানুষের নাম এনআরসির খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি তাদের নথিপত্র ফের যাচাই করা হবে। অসমের এনআরসি নবায়ন প্রক্রিয়া বিজেপি বা এনডিএ সরকারের পরিচালনায় হচ্ছে না। গোটা প্রক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলছে। অসমে এখনও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উগ্র মন্তব্যে অসমের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে বলে দাবি করেছেন এখানকার বহু বঙ্গভাষী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *