পাথারকান্দি (অসম), ৩০ জুলাই (হি.স.) : করিমগঞ্জ জেলার বিজেপি যুবমোর্চার সাধারণ সম্পাদককে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছেন পাথারকান্দির জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য। এ ব্যাপারে আজ সোমবার পাথারকান্দি থানায় একটি এফআইআর করেছেন ভুক্তভোগী যুবমোর্চা নেতা।
দাখিলকৃত এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে পাথারকান্দি থানার ওসি ডিম্বেশ্বর ঠাকুরিয়া জানান, পাথারকান্দি নির্বাচন কেন্দ্র এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলিতে অবাধে ধ্বংসযজ্ঞ সংক্রান্ত এক তথ্য গত ২৬ জুলাই তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন পাথারকান্দির বাসিন্দা প্রয়াত রমেন্দ্র শর্মার ছেলে তথা করিমগঞ্জ জেলা বিজেপি যুবমোর্চার অন্যতম সম্পাদক রাজীব শর্মা। ফেসবুকে এলাকার বিভিন্ন বনাঞ্চলে শতাধিক অবৈধ কাঠ চেরাই মেশিন বসিয়ে নির্বিচারে বনধ্বংস চলছে বলে তিনি কিছু ছবি পোস্ট করে এ ব্যাপারে রাজ্যের বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন রাজীব শর্মা। বিষয়টি মন্ত্রীর নজরে পড়ে। তিনি এ সব অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে দোহালিয়া বন বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে বললে শীঘ্রই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই পোস্ট দেখে এলাকার পরিবেশপ্রেমী জনগণ অত্যন্ত আনন্দিত হলেও খুশি হতে পারেননি পাথারকান্দির প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য রাজু রাজকুমার।
গত ২৯ জুলাই দুপুরে আচমকা দলবল সহযোগে হাতে উদ্যত একটি রিভলবার নিয়ে প্রাক্তন জেলা পরিষদ রাজু রাজকুমার শর্মা রাজীব শর্মার বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়ে তাঁর খোঁজ করেন। সে সময় রাজীব বাড়িতে ছিলেন না। তাঁকে না পেয়ে তাঁর বড় ভাই রণবিজয় শর্মাকে নির্দেশ দেন, রাজীব যেন শীঘ্র তাঁর ফেসবুকের সব পোস্ট ডিলিট করে দেয়। কেননা বনাঞ্চলে যে সব মিল রয়েছে সেগুলোর মালিক তিনি (রাজু) নিজে। এর অন্যথা হলে বা বেশি বাড়াবাড়ি করলে পরিণাম ভয়ঙ্কর হবে বলে নাকি হুমকি দিয়ে যান রাজু রাজকুমার। রাতে বাড়ি ফিরে দাদার কাছ থেকে এই হুমকির বার্তা পেয়ে তিনি ঘটনাটি বিজেপি যুবমোর্চার জেলা সভাপতি-সহ পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালকে জানান। ওসি জানান, এজাহারের ভিত্তিতে এক মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল বলেন, দিনদুপুরে দলের একজন সত্যনিষ্ট কর্মীকে কেউ প্রকাশ্য প্রাণে মারার হুমকি দেবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি প্রশাসনকে অনুরোধ করবেন। অন্যদিকে ঘটনা সম্পর্কে প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য রাজু রাজকুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।