নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ জুলাই৷৷ শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ঐতিহ্যবাহী খার্চি উৎসবের সমাপ্তি হল বৃহস্পতিবার৷ সাতদিনব্যাপী এই

মিলনমেলায় জনপ্লাবন হয়েছিল৷ এক কথায় এবারের খার্চি উৎসব নতুন মেজাজে, নতুন আঙ্গিকে ছিল৷ রাজ্যে নতুন সরকারের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে এই মেলায়৷ চাকচিক্য এবং সরকারি ব্যবস্থাপনা বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল৷ বৃহস্পতিবারহ সন্ধ্যায় সাতদিনব্যাপী এই মেলায় সমাপ্তি হয়৷ সমাপ্তিপর্বে উপস্থিত ছিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ, এডিসি মখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য রাধারচরণ দেববর্মা, বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী, ধীরেন্দ্র দেববর্মা, পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক ডঃ সন্দীপন এন মহাত্নে৷ জিরানিয়ার মহকুমাশাসক সুভাষচন্দ্র সাহা-সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ৷ সমাপ্তি পূর্বে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিধায়ক রতন চক্রবর্তী৷ এদিকে সমাপ্তি দিনে অন্যান্য দিনের তুলনায় পূণ্যার্থীদের ভিড় ছিল অনেক বেশি৷ এদিন সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে ভাষণ রাখতে গিয়ে জিষ্ণু দেববর্মণ বলেন, এবারের খার্চি উৎসব এক নতুন মেজাজে, নতুন অঙ্গিকে ছিল৷ তিনি বলেন, ঐতিহ্যের খার্চি উৎসবে এবারের দিনগুলো জনঢলের সাক্ষী ছিল চতুর্দশ মন্দির৷ সাতদিনব্যাপী এই উৎসবের শুভ সূচনা করেন মখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে এই উৎসবের শুভ সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ উৎ সবস্থল আগরতলার চতুর্দশ দেবতা মন্দির নতুন সাজে সেজে উঠেছিল৷ কয়েক যুগ ধরে এই মন্দিরে খার্চি পূজা হয়ে আসছে৷ মন্দিরে মোট ১৪ জন দেব-দেবীর প্রতিমা থাকায় একে চতুর্দশ দেবতা মন্দির বলা হয়৷ এঁরা সকলে প্রচীন রাজাদের গৃহদেবতা৷ এখানে প্রতিবছর বাৎসরিক পূজা হয়ে আসছে৷ মেলায় প্রতিবছর ত্রিপুরা ছাড়াও উত্তর-পূর্বের অন্যান্য রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ থেকেও লোক আসেন৷