BRAKING NEWS

টেট পরীক্ষা: ১৯ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

কলকাতা, ২৭ জুলাই, (হি.স.): টেট পরীক্ষার ১১টি প্রশ্নকে ঘিরে ১৯ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট । ফলে টেট নিয়ে আবার জটিলতার আশঙ্কা তৈরী হল বিভিন্ন মহলে । শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জানান, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বিশ্বভারতীয় উপাচার্য ৷ আবার অপরদিকে, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং শুরু করেছে এসএসসি । ২ আগস্ট পর্যন্ত চলবে কাউন্সেলিং । মাঝে শনি ও রবিবার হওয়ার জন্য ২৮ ও ২৯ জুলাই কোনও কাউন্সেলিং হবে না ।
টেট মামলার বয়ান অনুযায়ী, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ৷ ১১ অক্টোবর ২০১৫ সালে হয় সেই পরীক্ষা ৷ ওই বছর প্রায় ৩০ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল ৷ ১৫০ নম্বরের হয় সেই পরীক্ষা ৷ পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীদের একটা বড় অংশের অভিযোগ ছিল প্রশ্নপত্রের ১১টি প্রশ্ন ভুল ৷ এই নিয়ে ২০১৭ সালে ৫০০ জন পরীক্ষার্থী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ৷ প্রায় এক বছর মামলার শুনানি চলে ৷ মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও আইনজীবী বিক্রম চট্টোপাধ্যায় আদালতকে জানান, প্রশ্ন ভুলের মাশুল কেন গুণবেন পরীক্ষার্থীরা ? কেন পরীক্ষার্থীদের ১১ নম্বর দেওয়া হবে না সেই নিয়ে জোর সওয়াল করেন তারা ৷ বলেন, ‘ওই ১১টি প্রশ্নের উত্তর হিসেবে যে ৪টি বিকল্প দেওয়া হয়েছিল । তার সবকটিই ছিল ভুল’ । উল্লেখ্য, টেট হয় এমসিকিউ ধাঁচের । এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের জন্য ৪টি বিকল্প দেওয়া হয়ে থাকে । যার মধ্যে থেকে সঠিক উত্তরটি পরীক্ষার্থীদের বেছে নিতে হয় । পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, ২০১৪-র প্রাইমারি টেটে ১১টি প্রশ্নের ক্ষেত্রে সব উত্তরই ছিল ভুল । যার কোনও সংশোধনও করা হয়নি ।
সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরই এই ইস্যুতে মামলা দায়ের করেন ৫০০ জন পরীক্ষার্থী । এই পরীক্ষার্থীদের সবাই ২০১৪ প্রাইমারি টেটে অকৃতকার্য হয়েছিলেন । প্রশ্নপত্র যাচাইয়ের দাবি তোলেন তাঁরা । মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিকল্পগুলো ঠিক কী ভুল তা বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেনকে খতিয়ে দেখতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট । এই মামলায় হাইকোর্ট আগেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল । কিন্তু সেই রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত জমা পড়েনি । এদিন সেই প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ হয় আদালত । শেষে সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর শুক্রবার বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করবেন । সেই কমিটি ১১টি প্রশ্ন যাচাই করে দেখবেন সেগুলো ঠিক না ভুল । এই ১১টির মধ্যে যে কটি প্রশ্ন ভুল থাকবে তার নম্বর পাবেন পরীক্ষার্থীরা। ১৯ শে সেপ্টেম্বর বিশ্বভারতীর উপাচার্য মুখ বন্ধ খামে আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় ।
এদিন মামলাকারী পরীক্ষার্থীদের সেই অভিযোগকেই প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে নিল হাইকোর্ট । ওই ১১টি প্রশ্নের বিকল্প নিয়ে পরীক্ষার্থীরা যে প্রশ্ন তুলেছিল, তাকেই মান্যতা দিল আদালত । মামলার রায়ের উপরই এখন নির্ভর করছে চার বছর আগের প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা । তাই প্রাইমারি টেট নিয়ে নতুন করে জটিলতা দেখা দিল বলে মনে করছে শিক্ষা মহল ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *