কলকাতা, ২৬ জুলাই (হি.স.) : বৃহস্পতিবার মধ্যরাত এবং শুক্রবার ভোররাতে টানা চার ঘন্টা বিরল চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পাবেন
কলকাতাবাসী । বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকেই সম্পূর্ণ লাল রঙের চাঁদের দেখা মিলবে বলে জানিয়েছেন এমপি বিড়লা প্ল্যানেটরিয়ামের ডিরেক্টর, দেবীপ্রসাদ দুয়ারি ।
কিছুদিন আগেই সূর্যগ্রহণ হয়েছিল । কিন্তু সেই দৃশ্য দেখা যায়নি ভারতে । তবে এবারে সেই সম্ভাবনা রয়েছে । আকাশ পরিস্কার থাকলে বিরল এই গ্রহণের সাক্ষী থাকবেন কলকাতাবাসী । দেবীপ্রসাদ দুয়ারি জানান, কলকাতা সহ গোটা ভারতে দেখা যাবে ২৭ জুলাই প্রায় মধ্য রাত থেকে ২৮ জুলাই ভোর রাত পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট ধরে। এটাই হতে চলেছে শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ ।
২০০০ সালের ১৬ জুলাই ১ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট ধরে চলেছিল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ । ২০১১-এর ১৫ জুন পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের স্থায়িত্ব ছিল এক ঘণ্টা চল্লিশ মিনিট । ২৭ জুলাইয়ের পর ২০১৯ ফের হবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ । বৃহস্পতিবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হবে ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের । সাদা চাঁদ লাল হয়ে যাবে । যখন চাঁদ ও সূর্যের মাঝে পৃথিবী এসে পড়বে তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়বে । সূর্যের সাদা আলো যখনই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে এসে পড়বে তখন পৃথিবীর নীল রঙের সঙ্গে মিশবে সূর্যের সাদা আলো । আলোক বিচ্ছুরণ হবে । সৃষ্টি হবে লাল আলোর । এতেই রঙেই রাঙা হবে চাঁদ ।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন টানা ১০৩ মিনিটের বেশি সময় ধরে ঘটবে এই মহাজাগতিক ঘটনা, যা দীর্ঘতম চন্দ্র গ্রহণের থেকে চার মিনিট কম । পূর্ব আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্য, মধ্য এশিয়ায় সবথেকে পরিষ্কার দেখা যাবে গ্রহণ । আমেরিকায় ৮৩ মিনিট দেখা গেলেও ওই সমস্ত অঞ্চলে পুরো ১০৩ মিনিট ধরেই উপভোগ করা যাবে চন্দ্রগ্রহণ ।
বৃহস্পতিবার এমপি বিড়লা প্ল্যানেটরিয়ামের ডিরেক্টর, দেবীপ্রসাদ দুয়ারি জানিয়েছেন, ‘চন্দ্রগ্রহণ দেখতে কোনও ফিল্টার লাগে না । বাইনোকুলার হলে আরও স্পষ্ট দেখা যায় । চাঁদের গহ্বরগুলি আরও স্পষ্ট দেখা যাবে । মানুষের উপর এর কোনও ভালো বা খারাপ প্রভাব নেই । ১০০ বছরে এটাই দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ । পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ সর্বাধিক ১ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট দীর্ঘ হতে পারে । এটা চলবে ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত । ২৭ জুলাই অর্থাৎ আজ আংশিক চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রাত ১১টা ৫৪ মিনিটে । পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রাত ১টায়, চলবে রাত ২টো ৪৩ মিনিট পর্যন্ত । গ্রহণ পুরোপুরি শেষ হবে আগামীকাল ২৮ জুলাই ভোর ৩টে ৪৯ মিনিটে’ ।

