BRAKING NEWS

বনধ-এ নিষেধাজ্ঞা : উচ্চ আদালতের নির্দেশ কার্যকরে ব্যর্থ অসম, ব্যাপক সমালোচনা

গুয়াহাটি, ২৩ জুলাই (হি.স.) : ‘বনধ সংস্কৃতি’র ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে অসম এবং মেঘালয় সরকারকে ব্যবস্থা নিতে গত আট বছর আগে ২০১০ সালে গুয়াহাটি উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল। গুয়াহাটি উচ্চ আদালতের নির্দেশ ইতিমধ্যে কার্যকর করেছে প্রতিবেশী মেঘালয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে অসম সরকার আজ পর্যন্ত বনধ সংস্কৃতির কবল থেকে রাজ্যকে স্বস্তি দিতে পারেনি। ফলে যখন-তখন যে কোনও কেউ প্রায় প্রতি সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা, ৪৮ ঘণ্টার বনধ ডেকে অসমকে নাজেহাল করে তুলেছে।
গত এক সপ্তাহে রাজ্যে দুবার বনধ-এর ডাক দেওয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আজ ভোর পাঁচটা থেকে তাঁদের জনজাতির মর্যাদা দিতে কেন্দ্রীয় সরকার অনীহা করছে বলে ৩৬ ঘণ্টার বনধ কর্মসূচি পালন করছে মরান, মটক, তাই আহোম, চুতিয়া, কোচ-রাজবংশী এবং চা জনগোষ্ঠীর ঐক্যমঞ্চ। ফলে উজান থেকে নিম্ন অসমের বিভিন্ন এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বিভিন্ন মহলে এবার মেঘালয়ের মতো অসমে কেন বনধ সংস্কৃতির ওপর সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করছে না তা নিয়ে ব্যাপক চর্চা হচ্ছে সোশাল মিডিয়া থেকে সংবাদমাধ্যমে।
দু-দুটি পিআইএল-এর ভিত্তিতে ২০১০ সালে গুয়াহাটি উচ্চ আদালত দেশের সর্বোচ্চ আদালতের উদ্ধৃতি দিয়ে অসম এবং মেঘালয়ে বনধ কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে এক রায় দিয়েছিল। আদালতের ওই নির্দেশের পর মেঘালয়ে বনধ সংস্কৃতির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বনধ আহ্বায়কদের মোটা অঙ্কের জরিমানা জারি করতে শুরু করে সে রাজ্যের সরকার। জরিমানার ভয়ে আজ মেঘালয়ে কেউ বনধ ডাকার সাহস করে না। গত প্রায় আট বছর থেকে মেঘালয় বনধ-মুক্ত রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এভাবে অসমে কেন কড়া দাওয়াই প্রয়োগ করা হচ্ছে না, তা বলে সরকারের বিরুদ্ধ সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *