নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ জুলাই৷৷ শিক্ষকতার চাকুরি বাগাতে জাল নথির সহায়তা নেওয়া হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে৷ তাই, এসটিজিটি’র অফার প্রাপকদের সমস্ত নথি পুনরায় খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যক কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা দপ্তর৷ এই কমিটি সমস্ত অফার প্রাপকদের নথিপত্রে জাল নথি রয়েছে কিনা তা যাচাই করবে৷ শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ জানিয়েছে, জাল নথি ধরা পড়লে কড়া আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ এই পক্রিয়া সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগপত্র বিলি স্থগিত রাখা হবে৷
সম্প্রতি এসটিজিটি’র অফার জমা নেওয়া হচ্ছে৷ এরই মধ্যে জাল নথির সাহায্যে অনেকেই শিক্ষকতার চাকুরি বাগাতে চাইছে এমনটা অভিযোগ উঠেছে৷ এই অভিযোগ সারারাজ্যেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, দপ্তরের কাছে ৫২টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জমা পড়েছে৷ ফলে, এই অভিযোগ গুলির সত্যতা যাচাই করা জরুরি হয়ে পড়েছে৷ কারণ, জাল নথির সাহায্যে চাকুরী কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না৷
তিনি জানান, মঙ্গলবার দপ্তরের পাঁচ আধিকারীকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ এই কমিটিকে এসটিজিটি’র অফার প্রাপকদের বিএড ডিগ্রি সহ সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর কথায়, এসটিজিটি’র অফার প্রাপকদের নথিতে জাল ধরা পড়লেই তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দপ্তরকে আগাম নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, এসটিজিটি’র নিয়োগ পক্রিয়ায় প্রশ্ণ উঠায় আপাতত অফার বিলি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কমিটি সমস্ত কাজ সম্পন্ন করার পর অফার বিলি করা হবে৷ তাঁর দাবি, বেআইনি ভাবে একজনকেও নিয়োগ করা হবে না৷