
ভুয়ো মেসেজ ছড়ানোর জন্য ঠিক কেমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তা ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এই মেসেজগুলোর হাত থেকে কীভাবে রেহাই পাওয়া যায়, তারও একটা রাস্তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মহারাষ্ট্র, ত্রিপুরা, চেন্নাইয়ের মত রাজ্যগুলিতে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যাতে গুজব ছড়িয়ে পড়া রোখা যায়, তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এবার রাজ্য সরকারগুলিকেও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ছেলেধরা সন্দেহে ৫ জনকে পিটিয়ে মারে গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলার। পুলিশের বক্তব্য, ছেলেধরা চক্রের সদস্য সন্দেহে গ্রামবাসীরা ওই পাঁচজনকে পিটিয়ে মারা হয়। রাইনপদা গ্রামে ওই পাঁচজন এবং আরও কয়েকজন বাস থেকে নামেন। একজন গিয়ে এক শিশুর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। শিশুর সঙ্গে কথা বলতে দেখে পাঁচজনকে ঘিরে ফেলে তারা। এরপর ছেলেধরা সন্দেহে ওই পাঁচজনকে মারধর শুরু হয়। মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলায় ছেলেধরা সন্দেহে পাঁচজনকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার এম রামকুমার জানিয়েছেন, ধৃতের নাম মহারু পাওয়ার (২২)। তাকে নন্দুরবার জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা তাকে খুঁজে বার করে গ্রেফতার করেছেন।এরপর চারদিন আগে গুজরাটের আমেদাবাদে এক ভিখারিনিকে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে মারে স্থানীয়রা। গত বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় দু’জনকে পিটিয়ে মারা হয়।