চন্দনবাড়ি, ১ জুলাই (হি.স.) : প্রতিকূল অাবহাওয়া কাটিয়ে অবশেষে রবিবার থেকে ফের শুরু হল অমরনাথ যাত্রা। এদিন সকাল থেকে অমরনাথের পথে যাত্রা শুরু করেন পুণ্যার্থীরা। এবার অমরনাথ যাত্রা শুরুর দুদিন আগে থেকেই কাশ্মীর উপতক্যা জুড়ে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টিপাত। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবনও। চরম নাকাল হয়ে পড়েন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজার হাজার পুণ্যার্থী। অমরনাথের দুই যাত্রাস্থল বালতাল ও চন্দনবাড়ি থেকে পুণ্যার্থীদের বিপদ সঙ্কুল পথে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। এরই মধ্যে গত ২৮ জুন চন্দনবাড়ির আবহাওয়া সামান্য উন্নতি হওয়ায় তীর্থযাত্রীদের অমরনাথের উদ্দেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল অমরনাথ সাইন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এমনকি জানা যায় শেষনাগে বরফ পড়ে। ফলে অমরনাথেরর গুহার উদ্দেশ্যে যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তীর্থযাত্রীরা আশ্রয় নিতে বাধ্য হন বিভিন্ন লঙ্গর খানা ও ভান্ডারায়।
যাত্রা বন্ধের ফলে জম্মু থেকে তীর্থযাত্রীদের অমরনাথের উদ্দেশ্যে যেতে দেয়নি জম্মু প্রশাসনও। এর ফলে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের ধারে নাগরোটার পাঁচগায়ে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে আশ্রয় নেন।
রবিবার ভোর থেকে চন্দনবাড়িরর দিকে যাওয়ার ছাড়পত্র মিলতেই হাজার হাজার গাড়ি যাত্রা শুরু করে। সকালের দিকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় এদিন সকালে চন্দনবাড়ির পিসু টপ ও বালতাল থেকে ধাপে ধাপে তীর্থযাত্রীদের ছাড়া শুরু হয়েছে। তবে আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপপনায় আদৌ কতটা যাত্রাপথ তারা এগোতে পারবেন তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েই গিয়েছে।
ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের অমরনাথ মেডিকেল ক্যাম্পের প্রধান স্বামী সত্যমিত্রানানন্দ বলেন, রবিবার সকাল থেকেই কাশ্মীর উপত্যকায় ও অমরনাথের পথে ঝলমলে আকাশ। রোদ উঠেছে। ফলে রাস্তার কাদা শুকিয়ে যাওয়ায় যাত্রীরাও নিশ্চিন্তে অমরনাথের উদ্যেশে হাঁটা শুরু করেছেন। এদিন সকাল থেকে আশ্রমের পক্ষ থেকে কয়েক হাজার পুণ্যর্থীকে বিনামুল্যে ঔষধ দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের শীতের কোর্ট, ছাতা দেওয়া হয়। গরম চা-ও দেওয়া হয় আশ্রমের পক্ষ থেকে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এদিন প্রায় ১২ হাজার মানুষ চন্দনিবাড়ি হয়ে অমরনাথের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। এক সঙ্গে এত যাত্রীর চাপে যাতে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই এদিন বেলা ১২ টার পর চন্দনবাড়ি থেকে আর নতুন করে যাত্রীদের ছাড়া হয়নি।