
গত চার পাঁচ দিন থেকে লাগাতার বৃষ্টির দরুণ বৃহস্পতিবার ভোররাতে পাহাড় লাইনের ছয়টি স্থানে ধস নামে। তার পর রাতে আবার দামছড়া ও বান্দরখালের মধ্যবর্তী ১৩৩ কিলোমিটার অংশে ধস নামে। এতেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে রেল চলাচল। বিশেষ করে ফাইডিং-জাটিঙ্গা-লামপুর, দামছড়া-বান্দরখালের মধ্যবর্তী ১৩৩ কিলোমিটার অংশের ধসবিধ্বস্ত এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ডিহাকুতে ৩ নম্বর সুড়ঙ্গের মুখে ধস নেমে বেশ কিছুটা ক্ষতি করেছে। তাছাড়া নিউহাফলং ও নিউজাটিঙ্গা-লামপুরের মধ্যে ৯ এবং ১০ নম্বর সুড়ঙ্গের ভিতরে পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে ট্র্যাকের নীচের মাঠি-পাথর ধুয়ে নিয়ে গেছে। ফলে ট্র্যাকের ব্যাপক ক্ষতি হয়। একই অবস্থা নিউজাটিঙ্গা-লামপুরের। সেখানে পাহাড় থেকে নেমে আসা জলের স্রোতে প্রায় ২০০ মিটার এলাকাজুড়ে রেললাইনের নীচের মাটি পাথর ধুয়ে মুছে চলে গেছ।
এদিকে ধস নামার পরই রেলকর্মীরা পাহাড় লাইনের বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দিনরাত কাজ করে চলেছেন। তবে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ পাহাড় লাইনে সব ট্রেন আগামী ১৮ জুন নতুবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল করে দিয়েছে। তবে শিলচর ও আগরতলা থেকে দূরপাল্লার ট্রেনগুলি গুয়াহাটি পর্যন্ত চলাচল করবে বলে রেল সূত্রে জানা গেছে।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ অফিসার নৃপেন্দ্র ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথের ধসবিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে দ্রুতগতিতে সারাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন রেলকর্মীরা। তবে আগামী ১৮ জুন পর্যন্ত পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে।