BRAKING NEWS

শিক্ষক নিয়োগে এককালিন ছাড় পাচ্ছে রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ জুন৷৷ শিক্ষক নিয়োগে বড় স্বস্তি পেতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে শিক্ষক নিয়োগে এককালীন ছাড় দিতে চলেছে৷ এক্ষেত্রে প্রশাসনিক যোগ্যতায় ছাড় মিলতে পারে বলে সূত্র অনুসারে জানা গেছে৷ এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগে এককালীন ছাড়ের যথেষ্ট  সম্ভাবনা রয়েছে৷ রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে ছাড় চেয়েছে৷

শিক্ষার অধিকার আইন চালু হওয়ার পর এবং এনসিইটিই নির্দেশিকা মেনে শিক্ষক নিয়োগে সারা দেশেই জটিলতা রয়েছে৷ মূলত, শিক্ষক নিয়োগে টেট বাধ্যতামূলক হওয়ায় এই জটিলতা ক্রমেই বেড়েছে৷ কারণ, টেট দিতে গেলে প্রত্যাশীদের নূ্যনতম ৫০ শতাংশ নম্বর এবং বিএড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ ফলে, এনসিইটিই’র এই নির্দেশিকা মেনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না৷

ইতিপূর্বে বিভিন্ন রাজ্যকে শিক্ষক নিয়োগে ছাড় দেওয়া হয়েছে৷ এই রাজ্যও শিক্ষক নিয়োগে ছাড় পেয়েছে৷ ফলে, টেট ছাড়া কোন শিক্ষক নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না৷ পূর্বতন সরকার টেট নেওয়ার জন্য পৃথক বোর্ড গঠন করেছিল৷ টিআরবিটি শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষার আয়োজন করে চলেছে৷ কিন্তু, অনেকেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারছেন না৷ আবার অনেকে এনসিইটিই’র নির্দেশিকা মেনে প্রয়োজনীয় নম্বর কিংবা বিএড অথবা ডিএলএড দেখাতে পারছেন না৷

ফলে, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিয়েছে৷ বর্তমানে রাজ্যে ১২,২২২ জন শিক্ষকের শূন্যপদ রয়েছে৷ প্রতি বছর প্রচুর শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন৷ তাছাড়া, চাকুরিচ্যুত শিক্ষকরাও রাজ্য সরকারকে চিন্তায় ফেলেছে৷ কারণ, তাদের চাকুরির মেয়াদ সুপ্রিমকোর্ট বৃদ্ধি না করলে বিদ্যালয় পরিচালনায় মুখ থুবড়ে পড়তে পারে রাজ্য সরকার৷

এই সমস্ত কিছু ভাবনায় রেখে রাজ্য সরকার শিক্ষক নিয়োগে কেন্দ্রের কাছে এককালীন ছাড় চেয়েছে৷ সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে এই বিষয়ে সবুজ সংকেত পেয়েছে রাজ্য সরকার৷ সূত্রের দাবি, শিক্ষক নিয়োগে প্রফেশনাল যোগ্যতার ছাড় পেতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ এক্ষেত্রে বিএড ছাড়াই দিতে পারবেন টেট৷ কিন্তু, নূ্যনতম ৫০ নম্বর থাকতেই হবে৷ বিশেষ ক্ষেত্রে ৪৫ নম্বর বিবেচনা করা হবে৷ যোগ্যতা নির্ণয়ের পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষক নিয়োগ করা হবে৷ এক্ষেত্রে যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন তাদের শর্তাধীন চাকুরিতে নিয়োগ করা হবে৷ তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিএড কিংবা ডিএলএড করতে হবে৷ এই যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলে তাদের চাকুরি বাতিল হয়ে যাবে৷

শিক্ষা দপ্তরের জনৈক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, গুণগত শিক্ষায় কোন সমঝোতা করা হবে না৷ বিএড কিংবা ডিএলএড শিক্ষক প্রশিক্ষণের কোর্স মাত্র৷ অথচ, এই কোর্স ব্যতিত নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না৷ স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় যারা ৫০ শতাংশ কিংবা অধিক নম্বর পেয়ে থাকেন তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ণ তোলা উচিত হবে না৷ তাই রাজ্য সরকার শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষায় বসার জন্য প্রত্যাশিদের নম্বরের ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রের কাছে৷

শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ শিক্ষক নিয়োগের এককালীন ছাড় মিলবে বলে আশা প্রকাশ করেন৷ তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস কেন্দ্র শিক্ষক নিয়োগে রাজ্যকে ছাড় দেবে৷ সম্ভাবনা এমনটাই তৈরি হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *