নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ মে৷৷ নেশা বিরোধী অভিযান জারি রয়েছে ৷ মতিনগর থেকে পুলিশ ১০০০ কেজি এবং গান্ধীগ্রাম থেকে ৩৯০

কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করেছে৷ সেই সাথে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে৷ ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার এয়ারপোর্ট থানার অধীন গান্ধীগ্রামে৷ একটি গ্যারেজে গাড়িতে গোপন চেম্বার তৈরী করে ঐ গাঁজা রেখে চোরাচালানের পরিকল্পনা নিয়েছিল কারবারীরা৷ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ঐ গ্যারেজের মালিক সঞ্জিব রায়কে৷
সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম জেলার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল যে গান্ধীগ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় একটি গ্যারেজে গাড়িতে প্রচুর পরিমানে গাঁজা রয়েছে এবং সেগুলি চোরাচালান করা হবে৷ সেই খবরের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ বিশাল সংখ্যায় নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে ঐ গ্যারেজে হানা দেয়৷ গ্যারজে বারো চাকার একটি ট্রাকে তল্লাসী চালিয়ে ৩৯০ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ সেই সাথে গ্যারেজের মালিক সঞ্জিব রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়৷ পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার অজিত প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, গাঁজা চোরাচালানের সাথে একটি বড় চক্র জড়িত রয়েছে৷ ধৃত সঞ্জিব রায়কে জেরা করে এই চক্রের পান্ডাদের নামধাম জানা যাবে৷ আদালতের কাছে পুলিশ ধৃত সঞ্জিব রায়কে রিমান্ডে দেওয়ার জন্য আবেদন জানাবে৷ সেই সাথে পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন আগামী দিনেও এই ধরনের অভিযান জারী থাকবে৷
এদিকে, পাশাপাশি এলাকার মানুষ৷ এরই মধ্যে ময়ুরীকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় পালানোর জন্য বৃহস্পতিবার দুটি ট্রেনের টিকিট বুক করে নুর আহমেদ৷ খবরটি পৌঁছে যায় বজরং দল ও বিশ্বহিন্দু পরিষদের চোরাইবাড়ি প্রখণ্ডের কর্মকর্তাদের কানে৷ গতকাল, শুক্রবার সন্ধ্যায় অন্যান্যদিনের মতো গ্যারোন্টি মাস্টার নু আহমেদ প্রাইভেট পড়াতে ময়ুরীদের বাড়িতে যায়৷ তখন সুযোগ বুঝে স্থানীয় মানুষজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে হানা দেন ভিএইচপি ও বজরঙের প্রায় ডজনখানেক কর্মী৷ তাঁরা নুরকে পাকড়াও করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে চোরাইবাড়ি থানায় সমঝে দেন৷ ভিএইচপি কর্মকর্তাদের বক্তব্য, মেয়েটি লাভ জিহাদের শিকার হয়েছে৷
এদিকে চোরাইবাড়ি থানার ওসি শিবুচন্দ্র দে ঘটনা সম্পর্কে জানান, ধৃত যুবকটি তার যাবতীয় দোষ কবুল করেছে৷ সে ময়ুরীকে কলকাতায় নিয়ে ভালো চাকরি পাইয়ে দেবে বলে নাকি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ তাছাড়া ময়ুরীকে বিয়ে করে সংসার বাঁধার রঙিন স্বপ্ণও সে দেখছিল বলে পুলিশের কাছে প্রদত্ত স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে নুর আহমেদ৷ প্রদত্ত জবানবন্দির ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ২৯/২০১৮ নম্বরের ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪৫৭/৩৬৩ ধারায় এক মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান ওসি শিবুচন্দ্র দে৷ আজ নুর আহমেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে ধর্মনগরের সিজেএম আদালতে তোলা হয়৷ শুনানি শেষে আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার প্রাইভেট শিক্ষক নুরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে৷ এদিকে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ কিন্তু পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে৷ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এর আগেও নাকি অভিযুক্ত নুর আহমেদ বেশ কয়েকটি ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রেমের জালে ফেলে হেনস্তা করেছে৷ কিন্তু প্রাভেট টিউটারের অভাবে বাধ্য হয়ে এলাকার অভিভাবকরা নুরের শরণাপন্ন হন, জানিয়েছেন বাসিন্দারা৷