
শহিদ বিএসএফ জওয়ানের নাম হল, কনস্টেবল সীতারাম উপাধ্যায় (২৮)| তাঁর বাড়ি ঝাড়খণ্ডে| স্ত্রী, তিন বছরের কন্যা এবং এক বছরের পুত্র সন্তানকে রেখে অকালেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন বীর বিএসএফ জওয়ান সীতারাম উপাধ্যায়| জম্মু জেলার আর্নিয়া সেক্টরে পাক হামলায় শহিদ হয়েছেন বিএসএফ জওয়ান সীতারাম উপাধ্যায়| এছাড়াও পাকিস্তানি হামলায় আর এস পুরা সেক্টর ও আর্নিয়া সেক্টরে আহত হয়েছেন চারজন সাধারণ নাগরিক যথাক্রমে, আর এর পুরার বাসিন্দা ফারুখ আলি ও পি লাল (৬০) এবং আর্নিয়ার বাসিন্দা রমন কুমার গুপ্তা (৫৫) ও হরবংশ লাল|
সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন ওই কর্তা আরও জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত জম্মু জেলার আর্নিয়া ও আর এস পুরা সেক্টর এবং সাম্বা সেক্টরে অতর্কিতে গোলাগুলি বর্ষণ করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী| আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর ভারতীয় সেনা ছাউনি ও জনবসতিপূর্ণ গ্রাম লক্ষ্য করে গোলাগুলি বর্ষণ করে পাক সেনাবাহিনী| কালবিলম্ব না করে শত্রুপক্ষকে যোগ্য জবাব ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী| তবে দুঃসংবাদ হল, শত্রুপক্ষের হামলায় শহিদ হয়েছেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র একজন জওয়ান| এছাড়াও ক্রশ-বর্ডার শেলিংয়ে আহত হয়েছেন চারজন সাধারণ নাগরিক| আর্নিয়া সেক্টরে সীমান্তের প্রহরার দায়িত্বে ছিলেন বিএসএফ জওয়ান সীতারাম উপাধ্যায়| সেই সময় পাকিস্তানি হামলায় গুরুতর জখম হন ২৮ বছর বয়সি ওই বিএসএফ জওয়ান| হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তিনি প্রাণ হারিয়েছেন| অন্যদিকে, পাক হামলায় আহত চারজন সাধারণ নাগরিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে|