
শুধু রাম জেঠমালানি নন, কর্ণাটকের রাজ্যপালের নিন্দা করেছেন ডিএমকে নেতা এম কে স্তালিন| স্তালিনের দাবি, তামিলনাড়ুতে রাজ্যপালের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী| তাঁর অভিযোগ, কর্ণাটকেও একই ফেলা খেলল বিজেপি| স্তালিন আরও জানান, ‘আমরা দেখেছি এর আগে কীভাবে তামিলনাড়ুতে রাজ্যপালের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী| এবার কর্ণাটকেও তার পুনরাবৃত্তি হল|’
বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে বুধবার রাত ন’টা নাগাদ চিঠি পাঠান কর্ণাটকের রাজ্যপাল ভাজুভাই ভালা| কর্ণাটকে সরকার গড়তে বিজেপিকে আমন্ত্রণে, রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস ও জনতা দল (এস)| আবেদন ছিল দু’টি, প্রথমত বৃহস্পতিবারের শপথগ্রহণের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক| দ্বিতীয়ত, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ইয়েদুরাপ্পাকে যে ১৫ দিন সময় দিয়েছেন রাজ্যপাল, তা কমানো হোক| আর্জির গুরুত্ব বিবেচনা করে মধ্যরাতেই শুনানিতে রাজি হয় সর্বোচ্চ আদালত| প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর সঙ্গে কথা বলার পর, রাত দেড়টা নাগাদ শীর্ষ আদালতে আসেন তিন বিচারপতি, যথাক্রমে অর্জন কুমার সিক্রি, শরদ অরবিন্দ বোবদে ও অভয় মনোহর সাপ্রে| প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে শুনানি চলার পর, সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, বি এস ইয়েদুরাপ্পা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেও সরকার গঠন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মামলার শুনানি শেষে| শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে|
এমতাবস্থায় বিধানসভায় আস্থা ভোট অর্জনে নিশ্চিত ইয়েদুরাপ্পা| তাঁর সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করবে বলে দাবি নয়া মুখ্যমন্ত্রীর| তবে, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালের বক্তব্য, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১৫ দিন সময় দিলে আসলে বিধায়ক কেনাবেচার খেলায় ইয়েদুরাপ্পাকে সুযোগ করে দিয়েছেন রাজ্যপাল|’ এদিকে, কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডি (এস) জোটকে সরকার গড়তে দেওয়ার পক্ষে অভিনেতা তথা রাজনীতিক শত্রুঘ্ন সিনহা| পরপর টুইটে শত্রুঘ্ন সিনহা লিখেছেন, কর্ণাটকে রাজ্যপালের ডাকে বিজেপির সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত গণতন্ত্র নিয়ে রসিকতার সামিল| জনশক্তির বিরুদ্ধে ধনশক্তির এমন জঘন্য নজির চরম নিন্দনীয়|