লখনউ, ২৯ এপ্রিল (হি.স.) : প্রকাশিত হল ইউপি বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ফল। রবিরার প্রকাশিত হল উত্তরপ্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের (ইউপিএমএসপি) দশম শ্রেণী (হাই স্কুল) এবং দ্বাদশ (ইন্টারমিডিয়েট ) বোর্ডের পরীক্ষা ২০১৮-র ফলাফল | দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় পাশের হার ৭৫.১৬ শতাংশ । এই বছর দ্বাদশ শ্রেণীতে পাশের হার ৭২.৪৩ শতাংশ ।
রবিরার প্রকাশিত হল উত্তরপ্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের (ইউপিএমএসপি) দশম শ্রেণী (হাই স্কুল) এবং দ্বাদশ (ইন্টারমিডিয়েট ) বোর্ডের পরীক্ষা ২০১৮-র ফলাফল | দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় পাশের হার ৭৫.১৬ শতাংশ । দশম শ্রেণীতে পাশের হারে ছেলেদের ছাপিয়ে গেল মেয়েরা। ছেলেদের পাশের হার ৭২.৩ শতাংশ এবং মেয়েদের পাশের হার ৭৮.৮ শতাংশ | ইউপি বোর্ডে দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় প্রথম স্থানে রয়েছে অঞ্জলী ভার্মা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৬.৩৩ শতাংশ । ৯৪.৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফতেহপুরের যশস্বী। যুগ্ম ভাবে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে বিনয় কুমার এবং
সানি ভার্মা। দুজনেই ৯৪.১৭% স্কোর করেছে। এই বছর দশম শ্রেণীর পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৬ ফেব্রুয়ারি এবং শেষ হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। এবার দশম শ্রেণীতে পরীক্ষা দিয়েছিল মোট ৩৭ লক্ষ ১২ হাজার ৫০৮ জন ছাত্রছাত্রী।

অন্যদিকে, এবছর দ্বাদশ শ্রেণীতে পাশের হার ৭২.৪৩ শতাংশ । দ্বাদশ শ্রেণীতে প্রথম স্থান পেলেন ফতেপুরের রজনীশ শুক্লা এবং বারাবনকির আকাশ মৌর্যা। ৯২.০৬% নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হলেন গাজিপুরের আনন্যা রাই। ৯২.০২% নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে তৃতীয় স্থান অধিকার করলেন অভিষেক কুমার ও অজিত প্যাটেল। এবছর দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় বসেছিলেন ৩০,১৭,৩২ জন পরীক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় এই বছরের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশ কিছু বেড়েছে বলে সূত্রের খবর।
শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীরা ৩৫ শতাংশ নম্বর পেলে তবেই পাশ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষার্থীদের অনলাইন মার্কশিটের একটা প্রিন্ট আউট নিয়ে নিতে হবে। অনলাইনে ফল প্রকাশের পর সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হবে। পড়ুয়ারা আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট পেয়ে যাবে বলে পর্ষদ সূত্রে খবর।
ইউপিএমএসপি জানিয়েছে, যে সকল পরীক্ষার্থী প্র্যাকটিক্যাল পাশ করেছে অথচ বোর্ডের পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারে নি। তারা পাশের সার্টিফিকেট পাবে না। এ ক্ষেত্রে তারা জুলাই মাসে আবারও পরীক্ষায় বসতে পারবে।
উত্তরপ্রদেশের বোর্ডের সচিব নীনা শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ৬,৫৫,৬৯১ জন পরীক্ষার্থী দশম শ্রেণীর পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিলেন ৷ কিন্তু নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ায় পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে ১২ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ৷ যাদেরকে পরীক্ষায় ফেলের তালিকায় ধরা হয়েছে ৷ পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল রুখতে সিসিটিভি বসানো হয়েছিল৷ ১১ লক্ষ ৩২ হাজারেরও বেশি হাইস্কুলে সিসিটিভি বসানো হয়৷ এছাড়াও পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল রুখতে গঠন করা হয়েছিল বিশেষ টাস্ক ফোর্স৷