নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ মার্চ৷৷ আগামী ১২ মার্চ অনুষ্ঠেয় চড়িলাম বিধানসভা আসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করে দিয়েছে সিপিআইএম৷ যদিও প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের এখন আর কোনও সুযোগ নেই৷ পার্টির মতে, সারা রাজ্যে সন্ত্রাস চলছে, এই পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অসম্ভব৷ সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বর্তমানে সারা রাজ্যে সন্ত্রাস চলছে৷ চড়িলাম বিধানসভা আসনে সিবিআইএম প্রার্থী এলাকাছাড়া হয়ে আছেন৷ আত্মরক্ষায় তিনি অন্যত্র গিয়ে বসবাস করছেন৷ সিপিএম সেই কেন্দ্রে কোনও প্রচারকার্য চালাতে পারছে না৷ বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পার্টি৷ এছাড়া আর কোনও উপায়ও ছিল না৷ তিনি আরও বলেন, সিপিআইএম-এর তরফে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্তের কাছে পরিস্থিতির কথা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দাবি করা করে পলাশ দেববর্মাকে৷ আগামী ১২ মার্চ সেখানে ভোট গ্রহণ হবে৷ নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের এখন আর কোনও সুযোগ নেই৷ ভোটদাতারা পলাশ দেববর্মার নাম পাবেন ভোটযন্ত্রে৷ এই কেন্দ্রে বিজেপি-প্রার্থী রাজ্যের নবগঠিত সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণ দেববর্মণ৷
এদিকে, সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজ দুপুরে সিপিআই(এম)’র একটি প্রতিনিধি দল আগরতলা জি বি হাসপাতালে বিজেপি’র দুর্বৃত্তদের নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসমূলক আক্রমণে আহত সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকদের দেখতে যান৷ পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাদল চৌধুরী ও গৌতম দাশ, সদর মহকুমা কমিটির সম্পাদক সুভাশিষ গাঙ্গুলী, প্রদীপ দত্ত চৌধুরী প্রমুখ৷
বিজেপি’র দুর্বৃত্তদের ফ্যাসিস্টসুলভ আক্রমণে খয়েকরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) সমর্থক কৃষ্ণ দাসের (৬৪) বুকের পাঁজর, পা ভেঙ্গে গেছে৷ তাঁর ফুসফুসেও চোট লেগেছে৷ ফলে আজ অস্ত্রোপচার করা যায়নি৷ সদরের বড়জলা কেন্দ্রের দক্ষিণ নারায়াণপুরের ৮৫ বছর বয়সী পার্টি সমর্থক রহিম মিঞার হাত – পা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে৷ জলিল মিঞার দেহের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে৷ সোনামুড়ার দুর্লভ নারায়ণের পার্টি কর্মী দুলাল নাহার মাথা রড দিয়ে আঘাত করে ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে, কিরিজ দিয়ে হাত জখম করা হয়েছে৷ উদয়পুরের চন্দ্রপুরের আরও কয়েকজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ মানিক সরকার সহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আহতদের সাথে কথা বলেন, তাদের সহানুভূতি জানান৷ পার্টির পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করা হচ্ছে৷
অন্যদিকে, সিপিএম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি রাজ্যে এসেছেন৷ তিনি এদিন, প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে, প্রাক্তন বিধায়ক পবিত্র কর এবং সাংসদ শংকর প্রসাদ দত্তকে নিয়ে সদর ও জিরানীয়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন যেখানে সিপিএম দলের পার্টি অফিস এবং তাদের শ্রমিক সংগঠনের অফিসে হামলা হুজ্জতি চালানো হয়েছে৷