নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ ফেব্রুয়ারি৷৷ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর সোমবার সকাল থেকে রাজধানী
আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা প্রচার সজ্জা, ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন ইত্যাদি সরিয়ে নেওয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠেন৷ রবিবার অধিক রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বুথে ভোট গ্রহণ হওয়ায় প্রচার সজ্জা রাতে সরানো হয়নি৷ সোমবার সকাল থেকে প্রচার সজ্জা সরিয়ে নেওয়ার চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে নানা স্থানে৷ এযেন ভাঙা হাটের খেলা৷ নির্বাচনের আগে থেকে ভোট উৎসব নিয়ে যে উৎসবের মেজাজ চলছিল তাতে বর্তমানে কিছুটা ভাঁটা পড়েছে৷ প্রত্যেকের মধ্যেই এখন ভোটের ফলাফল কি হবে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চরমে উঠেছে৷ উভয় পক্ষই জয় নিয়ে আশাবাদী৷ বিভিন্ন স্থানে বাজি ধরার পালাও শুরু হয়ে গেছে৷ এবারের ফলাফল যে বিগত নির্বাচনের চেয়ে জটিল হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ স্বাভাবিক কারণেই রাজনৈতিক মহল এনিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করতে নারাজ৷ অনেকেই মধ্যপন্থা অবলম্বন করে চলেছেন৷ ভোটগণনা হবে ৩রা মার্চ৷ প্রতিটি মুহুর্ত উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে কাটাচ্ছেন রাজনীতিকরা৷ কখন কোথায় ফলাফল কি হয়ে যায় তা বলা মুশকিল৷ কেননা, এবার ভোটারদের মনোভাব বোঝা মুশকিল হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষে৷ এরাজ্যে বরাবরই কংগ্রেস ও সিপিমে একে অপরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করে আসছে৷ এবারই প্রথম সিপিএমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে উঠেছে বিজেপি৷ শাসক দল নানা কারণেই দুশ্চিন্তার সম্মুখীন হয়েছে৷ একদিকে কর্মচারী ভোটাররা বামফ্রন্টের পক্ষে মতদান করেছে কি না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে৷ শুধু তাই নয়, নতুন ভোটারদের একটা বড় অংশ বিরোধী শিবিরে পাড়ি জমিয়েছে৷ অপরদিকে বিজেপির দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে কংগ্রেস৷ প্রতিটি কেন্দ্রেই প্রাার্থী দিয়েছে কংগ্রেস৷ কংগ্রেসের কিছু ভোটার এখনও কংগ্রেস বলতে অজ্ঞান৷ এ ধরনের ভোটারের সংখ্যা বেশি হলে বিজেপির পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে কংগ্রেস৷ এসব দুঃশ্চিন্তার কালোমেঘের মাঝখানে হাবুডুবু খাচ্ছে সিপিএম ও বিজেপি উভয় দল৷ এই দুশ্চিন্তার অবসান ঘটবে ৩রা মার্চ৷ সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছেন রাজ্যবাসী ও গোটা দেশের মানুষ৷