নয়াদিল্লি, ১৪ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): বড়সড় সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল| ২০০৮ বাটলা হাউস এনকাউন্টারের পর থেকে পলাতক সন্দেহভাজন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (এইএম) জঙ্গি আরিজ খান (৩২) ওরফে জুনাইদকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল| ২০০৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এনকাউন্টারের সময় দিল্লির জামিয়া নগর এলাকায় অবস্থিত বাটলা হাউসে উপস্থিত ছিল জুনাইদ সহ পাঁচ সন্দেহভাজন| এনকাউন্টারে খতম হয়েছিল দুই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি| পাশাপাশি দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ| এনকাউন্টারে মারা যান পুলিশ ইন্সপেক্টর মোহন চন্দ শর্মা| তবে, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় জুনাইদ| সেই থেকে পলাতক ছিল সন্দেহভাজন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি জুনাইদ|
অবশেষে ৩২ বছর বয়সি আরিজ খানকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল| ডিসিপি (স্পেশাল সেল) প্রমোদ সিং কুশওয়া জানিয়েছেন, বুধবার ইন্দো-নেপাল সীমান্ত গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেহভাজন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি আরিজ খান ওরফে জুনাইদকে|পুলিশ সূত্রের খবর, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার আরিজ খানের বাড়ি উত্তর প্রদেশের আজমগড়ে| ৱুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে ডিসিপি (স্পেশাল সেল) প্রমোদ সিং কুশওয়া জানিয়েছেন, ‘আরিজ খান ওরফে জুনাইদকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল| ২০০৮ দিল্লি ধারাবাহিক বিস্ফোরণ সহ একাধিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত জুনাইদ|’ ডিসিপি (স্পেশাল সেল) প্রমোদ সিং কুশওয়া আরও জানিয়েছেন, ‘বোমা তৈরিতে সিদ্ধহস্ত আরিজ খান| বাটলা হাউস এনকাউন্টারে নিহত আতিফ আমিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আরিজ|এছাড়াও ২০০৭ উত্তর প্রদেশ বিস্ফোরণ, ২০০৮ জয়পুর ধারাবাহিক বিস্ফোরণ এবং ২০০৮ আহমেদাবাদ বিস্ফোরণের সঙ্গে আরিজ|বাটলা হাউস এনকাউন্টারের সময় সে পালিয়ে যায়|’