গুয়াহাটি, ১১ ফেব্রুয়ারি, (হি.স.) : চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ফের চার বুনো হাতির করুণ মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে গুয়াহাটি থকে রওয়ানা হয়েছেন বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম। জখম অন্য হাতির চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু করতে কাজিরঙা থেকে চিকিৎসকের এক দলও ঘটনাস্থল হাওয়াইপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ব্রহ্ম।
মন্ত্রী প্রমীলা হাওয়াইপুর-যাত্রার আগে জানিয়েছেন, ঘটনা গতকাল শনিবার রাত প্রায় ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ ঘটেছে। দুরন্ত ১৫৬১১ শিলচর-গুয়াহাটি স্পেশাল প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ধাক্কায় মরতে হচ্ছে অবলা জন্তুদের। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছিল। তবে লামডিং থেকে সরঞ্জাম নিয়ে রেলকর্মীরা এসে রাত প্রায় দুটো নাগাদ ইঞ্জিনকে তুলেছেন। এর পর ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনাস্থল লামডিং রেল ডিভিশনের অন্তর্গত হোজাই-লামডিঙের মধ্যবর্তী হাওয়াইপুর ১৬৭.০৯ কিমি পিলার সংলগ্ন এলাকা
গত প্রায় দুমাস আগে একই জায়গায় একটি গর্ভবতী-সহ ছয়টি হাতির একইভাবে মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনার উদ্ধৃতি দিয়ে বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম বলেছেন, সেদিনের ঘটনার বহু আগে রেল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট রুট এলিফ্যান্ট করিডোর। তাই ওই রুটে যাতে কোনও অবস্থাতেই ৩০ কিলোমিটারের বেশ গতিবেগে ট্রেন চলাচল না করে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করতে। এর পর একই ট্রেনের ধাক্কায় ছয়টি হাতির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল। সেদিনের ঘটনার পর ফের রেল কর্তৃপক্ষকে তাদের দায়িত্ব পালনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মামলা রুজু করা হয়েছিল। তবু তাদের টনক নড়েনি। তার পরও বেপরোয়া ট্রেনের ধাক্কায় ফের চার হাতির মৃত্যু হয়েছে। ঘায়েল হাতিকে বাঁচানো যাবে কিনা সে সম্পর্কেও অনিশ্চয়তা ব্যক্ত করেছেন মন্ত্রী প্রমীলারানি। বলেছেন, দেখা যাক কাজিরঙা থেকে বিশেষজ্ঞ পশু চিকৎসকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা ইতিমধ্যে রওয়ানা হয়ে গেছেন।