নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ ফেব্রুয়ারি৷৷ ভোটের মুখে তিনটি পিস্তল এবং ৫০০ রাউন্ড তাজা গুলি সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে
এক ব্যক্তিকে৷ ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷ ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, বুধবার ত্রিপুরাসুন্দরী এক্সপ্রেস থেকে তিনটি পিস্তল, ৫০০ রাউন্ড গুলি সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে আমতলী থানার পুলিশ৷ ধৃতের বাড়ি যতনবাড়ি এলাকা৷ তার নাম নরেশ চাকমা৷ এর আগে অসমেও এইরকমই সমদোষে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল নরেশ৷ পুলিশের ধারনা, অসামাজিক কাজে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যেই নরেশ নিয়ে যাচ্ছিল গুলিসহ পিস্তল৷ প্রথমে তাকে জিআরপি বাহিনী আটক করে৷ পরে তাকে আমতলী থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের একটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷
জানা গিয়েছে, তিনটি পিস্তল ৯ এমএম৷ সাথে রয়েছে একটি দামি ছুরিও৷ জিআরপি পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল যে এক ব্যক্তি ত্রিপুরাসুন্দরী এক্সপ্রেসে করে আগ্ণেয়াস্ত্র সমেত আগরতলা স্টেশনে আসছে৷ সেই মোতাবেক পুলিশ বুধবার শেষরাতে ট্রেন স্টেশনে পৌঁছতেই তল্লাসী চালিয়ে নরেশ চাকমাকে আটক করে৷ তার হেফাজতে থাকা তিনটি পিস্তল ও পুনের কারখানায় তৈরী দশটি প্যাকেটে রাখা ৫০০ রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করেছে৷ তাকে জোর জেরা চালানো হচ্ছে৷ একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে পাচারের জন্যই এই আগ্ণেয়াস্ত্র আনা হয়েছে৷ পুলিশ আগ্ণেয়াস্ত্র চোরাচালানের আন্তর্জাতিক চক্রের পান্ডাদের নামধাম জানার চেষ্টা করছে৷
এদিকে, ভোটের মুখে আগ্ণেয়াস্ত্রসহ ব্যক্তি গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলেও জোর আলোচনা চলছে৷ বিকালে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক একটি সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি আগ্ণেয়াস্ত্র উদ্ধারের বিষয়েও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন৷ তিনি বলেন, রাজ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে৷ বহিরাজ্য থেকে প্রচুর সংখ্যায় লোকজন এখানে এসেছে৷ বিবিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ নির্বাচনকে ঘিরে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টির চেষ্টায় যারা মেতেছে তাদের সম্পর্কে সতর্ক নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন৷
অন্যদিকে, বিজনবাবুর সাংবাদিক সম্মেলনের পর বিজেপি রাজ্য প্রভারী সুনীল দেওধর সাংবাদিক সম্মলেন অন্যান্য প্রসঙ্গের পাশাপাশি আগ্ণেয়াস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে বলেন, ধৃত ব্যক্তির বাড়ি বহিঃরাজ্যে নয়৷ নরেশ চাকমা যতনবাড়ির বাসিন্দা৷ তিনি অভিযোগ করেন, শাসক দলের অনেক ক্যাডার রয়েছে যারা পরাজয়ের ভয়ে রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েছে৷ নরেশ চাকমার রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখা দরকার৷ পুলিশ প্রশাসন যাতে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে সত্য উদ্ঘাটন করে সেকথাও দেওধর এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন৷