BRAKING NEWS

ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা অাদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার জিএসটি কমিশনার সহ ৯

নয়াদিল্লি ও কানপুর, ৩ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : এবার ঘুষ নিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিঅাইয়ের হাতে গ্রেফতার কানপুরের জিএসটি কমিশনারসহ নয় জন৷
সিবিআই সূত্রের খবর, জিএসটি ও সেন্ট্রাল এক্সাইজ কমিশনার পদে নিযুক্ত ১৯৮৬-র ব্যাচের ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস) অাধিকারিক সংসার চাঁদ, জিএসটি দফতরের দুই সুপারইন্টেন্ডেন্ট, তাঁর অধীনস্থ এক কর্মী ও পাঁচজন বেসরকারি ব্যক্তিকে শুক্রবার গভীর রাতে কানপুর থেকে দিল্লি পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পাকড়াও করা হয়। দিল্লি ও কানপুরে অভিযান চালিয়ে জিএসটি কমিশনার চন্দ, সুপারিটেন্ডেন্ট অজয় শ্রীবাস্তব, আমন শাহ, রাজীব সিং চান্দেলকে গ্রেফতার করা হয়৷ পাশাপাশি সৌরভ পাণ্ডে সহ বেশ কয়েকজন দফতর কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে৷
অভিযোগ, ওই জিএসটি কমিশনারের আইনবহির্ভূত কাজকর্মে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়মিত তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে মাসোহারা ও সাপ্তাহিকভাবে উৎকোচ পেতেন। শুক্রবার রাতে এমনই এক তোলা সংগ্রহের সময় দেড় লক্ষ টাকা নিতে গিয়ে গ্রেফতার হন তিনি। তোলাদাতাও ধরা হয়েছে। সূত্রের খবর, এফআইআরে ওই কমিশনারের স্ত্রীর নামও রয়েছে, যদিও তিনি এখনও অধরা। বাকিরাও একই ভাবে ঘুষ আদায় করতেন। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির কাছ থেকে জিএসটি দফতরের তরফে ব্যবস্থা না নেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে তোলা নেওয়া হত। সূত্রের খবর, মনে করা হচ্ছে, সরকারের নতুন কর ব্যবস্থা জিএসটি রূপায়ণে প্রভাব পড়তে পারে এমন ঘটনায়। সিবিআই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ (বি) ও অন্যান্য আইনের নানা ধারায় ওঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সিবিআই-এর দাবি, ধৃতরা প্রত্যেকেই নিয়মিত ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত৷ একটি চক্রের মাধ্যমে তারা ঘুষ আদায় করত৷ প্রোটেকশন মানি হিসাবে এই ঘুষ মাসে একবার বা তিন মাসে একবার নেওয়া হত৷ ঘুষ আদায়ের জন্য আওয়াস্তি নামের একজন দালালকে ব্যবহার করত ধৃতরা৷ ঘুষ নেওয়ার এই চক্রটি অত্যন্ত সুসংগঠিত ছিল বলে অনুমান সিবিআই-এর৷ জানা গিয়েছে, আমন জৈন নামের এক ব্যক্তির সাহায্যে সরকারি চাকরিজীবীদের হাত হয়ে ঘুষের টাকা হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে নয়াদিল্লিতে এসে পৌঁছাত৷ তবে ঘুষ শুধুমাত্র টাকায় দেওয়া হত না, ফ্রিজ, টিভি, মোবাইল প্রভৃতি দামি সামগ্রীও ঘুষ দেওয়া হত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *