নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ জানুয়ারী৷৷ রাজনীতির ময়দান ছাড়েননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মণ৷ বিশালগড় বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড়াবেন তিনি৷ সম্ভবত, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়বেন৷ এতদিন অনুমান করা হচ্ছিল, রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কয়েকবারের কংগ্রেস বিধায়ক সমীর রঞ্জন বর্মণ৷ কিন্তু, এধরনের সম্ভাবনা সোমবার কার্য্যত উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর অনুগামীরা৷
বর্তমানে সমীর রঞ্জন বর্মণ কোন দলেই নেই৷ দীর্ঘদিন কংগ্রেসে ছিলেন তিনি৷ ১৯৭২ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত কংগ্রেসের টিকিটেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন৷ ১৯৭২, ১৯৮৮, ১৯৯৩, ১৯৯৮ এবং ২০০৩ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছেন৷ কংগ্রেস জোট সরকারের আমলে ১৯ ফেব্রুয়ারাী ১৯৯২ থেকে ১০ মার্চ ১৯৯৩ পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলেছেন৷ ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি ত্রিপুরা বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন৷ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদও তিনি দীর্ঘদিন সামলেছেন৷ তবে, ২০০৮ এবং ২০১৩ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জয়ী হতে পারেননি৷
২০১৬ সালে রাজ্য বিধানসভার ছয় সদস্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর সমীর রঞ্জন বর্মণ আগরতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণমঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন৷ এই ঘটনার পরই তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কর্যকলাপের অভিযোগ এনে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি তাঁকে দল থেকে বহিস্কার করেছিল৷ এরপর অবশ্য তিনি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেননি৷ পরবর্তী সময়ে সমীর রঞ্জন বর্মণের ছেলে সুদীপ রায় বর্মণ সহ ছয় বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন৷ কিন্তু, তিনি এই দলবদল প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ নিঃস্পৃহ ছিলেন৷ তাতেই ধারণা করা হয়েছিল, রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নিয়েছেন সমীর রঞ্জন বর্মণ৷
কিন্তু, তিনি এবারও প্রার্থী হতে চলেছেন৷ সোমবার বিশালগড় আইএনটিইউসি অফিসের সামনে তাঁর অনুগামীরা জড়ো হয়ে সমীর রঞ্জন বর্মণের সমর্থনে মিছিল করার উদ্যোগ নেন৷ তবে বর্ষীয়ান নেতার অনুরোধে তাঁরা মিছিল করা থেকে বিরত থাকেন৷ কিন্তু, একটি সভা সেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, বুধবার বিশালগড়ে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন সমীর রঞ্জন বর্মণ৷ সম্ভবত নির্দল প্রার্থী হিসেবেই তিনি ঐ কেন্দ্রে লড়বেন৷