BRAKING NEWS

বিজেপিকে আটকাতে কারাতরা কতটা আন্তরিক তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা,২৪ জানুয়ারি ( হি.স.) : সিপিএমের সামনে এখন সব থেকে বড় শত্রু বিজেপি এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতি । এটা মেনেও বিজেপিকে আটকাতে প্রকাশ কারাতরা কতটা আন্তরিক তা নিয়ে বুধবার প্রশ্ন তুলে দিলেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার তথা বর্ষীয়ান বামপন্থী নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় । জ্যোতি বসুর প্রধানমন্ত্রী হওয়া আটকানোর প্রসঙ্গ তুলে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সেই সময় জ্যোতি বসুকে মানুষ প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিল, এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আটকানোর প্রশ্নেই । কিন্তু তখনও এই প্রকাশ কারাতই এর বিরোধিতা করে জ্যোতি বসুর প্রধানমন্ত্রী হওয়া ভেস্তে দেন ।

সিপিএমের রাজনীতিতে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় চিরকালই কারাতের কট্টোর সমালোচক বলে পরিচিত । ইউপিএ টু থেকে যখন বামফ্রন্ট সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় সেই সময়ই কারাতের সঙ্গে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্ব সামনে আসে । করাতের জন্যই তাকে পার্টি থেকে বহিস্কৃত হতে হয় । এবার বঙ্গ ব্রিগ্রেডের পাশে দাঁড়িয়ে জোট প্রসঙ্গেও সরব হলেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় । এদিন তিনি বলেন,‘ইয়েচুরিকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ ইয়েচুরি সাধারণ সম্পাদক থাকবে কী করে ? ওকে পার্টিতে অসম্মান করা হচ্ছে ৷ সংসদে কোনও প্রতিনিধি না থাকলে দলেরই ক্ষতি ৷ তা সত্ত্বেও রাজ্যসভায় যেতে দেওয়া হয়নি ইয়েচুরিকে’ ৷

দেশে ১৯ টা রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি । মুখে অন্য কথা বললেও ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপি যে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকেই হাতিয়ার করতে চলেছে তা পরিস্কার । বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেস সহ ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে নিয়ে জোট চেয়েছিলেন সিপিএমের একাংশ । কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটির দুদিনের বৈঠকে ইয়েচুরির সেই লাইন খারিজ হয়ে যায় । এই ইস্যুতে প্রকাশ কারাতকেই দায়ী করলেন প্রাক্তন সিপিএম নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় । কেন্দ্রীয় কমিটিতে জোটের প্রশ্নে ভোটাভুটিতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন সর্বভারতীয় সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি নিজেই । ইস্তফা দেওয়ার হুমকি দিয়েও লাভ হয়নি ইয়েচুরির । কারাতের কৌশলে কুপোকাৎ হয় বঙ্গ ব্রিগেড । কলকাতায় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ার প্রস্তাব নাকচ হয়েছে । বৈঠকের শেষদিনে ভোটাভুটির সময় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিপক্ষে ভোট পড়ে ৫৫টি । জোটের পক্ষে ৩১টি । ভোটের সময় ত্রিপুরা শিবির দু-টো ভাগ হয় । বাংলার তিনটি ভোট কারাতশিবিরে পড়েছে বলে মনে করছেন বাংলার জোটপন্থী নেতারা । যদিও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সহ অধিকাংশ নেতা । তাও কি করে বাংলার ভোট করাত শিবিরে গেল তাই নিয়ে দলের ভেতরে আলোচনা তুঙ্গে । সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির ইস্তফা দেওয়ার হুঁশিয়ারিতেও চিঁড়ে ভেজেনি । ভোটাভুটিতে জয় হয় প্রকাশ কারাত শিবিরের । যে সিদ্ধান্তে আদতে সিপিএমের ক্ষতি হবে বলেই মনে করছেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *